গাজীপুর সদর উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এক র্যাব-৪ এর সদস্যসহ দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার ( ১২ মে ) সকাল আটটার দিকে জয়দেবপুর থানাধীন ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের গেইট সংলগ্ন এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত র্যাব সদস্যের নাম সার্জেন্ট খাইরুল ইসলাম (৩৮)। অপরজন অটোচালক লিটন( ৪০)। লিটন ভবানীপুর সিংদিগীরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমির আলীর ছেলে।
অপর আহতরা হলেন। র্যাব সদস্য ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ শরীফ, নায়েক প্রদীপ, সৈনিক আতিক, মাদক মামলার আসামি সুজন ও উপজেলার পিরুজালি গ্রামের মাসুদের ছেলে অটোমোবাইল মিস্ত্রী রিফাত।
দূর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. মইন উদ্দিন বলেন, ‘সকালে উত্তরা থেকে আসা র্যাব-৪ এর সদস্যদের একটি মাইক্রোবাস (গাড়ি নং: ঢাকা মেট্রো-চ ১১-৭৫১০) করে একজন মাদকের আসামি নিয়ে শ্রীপুর থানায় যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যে ভবানীপুর তাদের গাড়ীটি যান্ত্রিকত্রুটি দেখা দেয়। এরপর অটোচালক লিটন র্যাবের ত্রুটিপূর্ণ গাড়ী মেরামতের জন্য মিস্ত্রি রিফাতকে খবরদেন। পরে রিফাত এসে গাড়ীতে কাজ করছিলেন। এমন সময় ময়মনসিংহগামী নোহা মাইক্রোবাসটি (যার নং ঢাকা মেট্রো চ-৫২-০৭১২) র্যাবের গাড়ীকে সজোরে ধাক্কা দিলে গাড়ীটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে অটোচালক লিটন প্রাণ হারায়। এবং চার র্যাব সদস্য ও মিস্ত্রী রিফাত গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের কে চিকিৎসার জন্য মাওনা চৌরাস্তা (আল হেরা হাসপাতালে) নেওয়ার পথে র্যাব সদস্য সার্জেন্ট খাইরুল মারা যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা মাওনা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাদিউল বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। নিহত অটোচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নোহা মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে । আইনগত প্রক্রিয়া শেষে অটো চালকের লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। র্যাব সদস্যের লাশ তাদের হেফাজতে রয়েছে।
অপর আহত র্যাব সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।