গাজীপুরে ইয়াবা সেবনকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর তর্ক বিতর্কের জেরে একে অপরের চাপাতির আঘাতে এক বন্ধু খুন ও অপর বন্ধু আহত হয়েছেন।
শুক্রবার গাজীপুর শহরের মধ্য ছায়াবিথী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন্ধুকে খুনের এ ঘটনায় আহত শেখর দাসকে (৪৭) আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম- সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন তাপস (৫০)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানাধীন মধ্য ছায়াবিথী এলাকার আলাউদ্দীন আহমেদের ছেলে। তার বন্ধু আটক শেখর দাস (৪৭) একই এলাকার সরু মিয়া রোডের মৃত ননী গোপাল দাসের ছেলে।
তিনি বলেন, নিহত সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন তাপস এবং অভিযুক্ত শেখর দাস পরস্পর বন্ধু। তারা দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার নেশায় আসক্ত। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেখর তার বন্ধু সাজ্জাদের বাসায় এসে দুজন মিলে ইয়াবা সেবন করেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইয়াবা সেবনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সাজ্জাদ তার ঘরে থাকা চাপাতি দিয়ে শেখর দাসকে আঘাত করেন। পরে চাপাতি ছিনিয়ে নিয়ে সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করেন শেখর।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় চিৎকার শুনে ঘরের লোকজন এসে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাপসের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজ্জাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত শেখর দাস পুলিশ পাহারায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করবেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।