গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাল স্পেন ও বেলজিয়াম
Advertisements

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্পেন ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীরা। তারা গাজায় নির্বিচার ইসরাইলি বোমাবর্ষণের নিন্দা জানিয়েছেন। আর তাদের এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দখলদার ইসরাইল।

গতকাল (শুক্রবার) গাজা উপত্যকার রাফাহ ক্রসিংয়ের মিশর অংশে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো সানচেজ ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রো। তারা দু’জনই গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের ‘নির্বিচার’ হামলার নিন্দা জানান। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাদের এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সানচেজ আরো এক ধাপ এগিয়ে গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘আধুনিক যুগের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে তা একটি বিপর্যয় এবং আমাদেরকে এই বোমাবর্ষণ কার্যকরভাবে বন্ধ করে সেখানে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।”

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয় বরং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার নেতৃত্বাধীন স্পেন সরকার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে।

পেদরো সানচেজ বলেন, “যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয় তাহলে আমরা এককভাবে এ কাজ করব।” তিনি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীও গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনের পক্ষে স্পেন ও বেলজিয়াম সরকারের এই কঠোর অবস্থানে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে মানবতার শত্রু ইসরাইল। শুক্রবারই তেল আবিবে নিযুক্ত স্পেন ও বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে দখলদার সরকার। ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন ওই দুই ইউরোপীয় প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমরা সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর হামাসকে ধ্বংস করে বাকি পণবন্দিদের মুক্ত করে আনা পর্যন্ত যুদ্ধ করব।”

Advertisements