অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি। সংস্থাটি ওই হামলাকে ‘সংগঠিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিষয়ে আলোচনা করতে জেদ্দায় ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠকে ওআইসির মহাসচিব ইব্রাহিম তাহা সংস্থাটির এ অবস্থান ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের মানবিক মূল্যবোধের বিচারে হাসপাতালে হামলা মেনে নেয়া যায় না। তাহা বলেন, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ ও সংগঠিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ যার বিচার করা জরুরি।
এ ধরনের ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান ওআইসির মহাসচিব। তিনি বলেন, আগ্রাসন বন্ধ করে এখন গাজায় জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ ২৩ লাখ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইব্রাহিম তাহা বলেন, ওআইসি এর আগেও এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিল যে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরাইলের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই এবং তাকে তার বর্বরতার জন্য কখনও বিচারের সম্মুখীন হতে হয়নি। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়ন, তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান, হত্যা, সংগঠিত সন্ত্রাস, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং এ ধরনের অন্যান্য অপরাধ করার জন্য ইসরাইলকে কখনও শাস্তি পেতে হয়নি।
ওআইসির জরুরি বৈঠকে যোগ দিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এরইমধ্যে জেদ্দায় পৌঁছেছেন। এ বৈঠক সম্পর্কে ওআইসির মহাসচিব আরো বলেন, “আমি আশা করি এই বৈঠকটি ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে, ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা করতে এবং এই অগ্নিপরীক্ষায় তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সফল হবে।”