মার্কিন মিডিয়া কোম্পানিগুলো সেদেশের সরকারের নির্দেশে আরবি ভাষার টিভি চ্যানেল ‘আল-আলম’ এর সামাজিক মাধ্যমের পেজগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। মার্কিন সরকার ও গণমাধ্যম কোম্পানিগুলো মুখে নিজেদেরকে বাক স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্বের সমর্থক বলে দাবি করলেও বাস্তবে এর উল্টো পদক্ষেপটিই গ্রহণ করেছে। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য তুলে ধরছে আল-আলম। এ কারণেই এটির পেজ বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগেও আল-আলমের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করা হয়েছিল। ২০২০ সালে ফেসবুক আল-আলম টিভি চ্যানেলের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম পেজ বন্ধ করে দেয়। একই ভাবে সাবেক টুইটার বা বর্তমান এক্স, আরবি ভাষার টিভি চ্যানেল আল-আলমের পেজটি বন্ধ করে দেয়। সে সময় টুইটারে আল-আলমের ঐ পেজের ফলোয়ার ছিল লাখ লাখ।
এমন সময় এই পদক্ষেপটি নেয়া হলো যখন তথ্যের অবাধ প্রবাহের দাবিদারেরা সব সময় লোক দেখানোর জন্য ১৯৪৮ সালে গৃহীত সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ১৯ অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই।
১৯ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ করা ও যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রীয় সীমানাকে উপেক্ষা করে তথ্য ও মতামত সন্ধান করা, গ্রহণ করা ও জানবার স্বাধীনতা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।