গণধর্ষণের আসামি ধরতে টালবাহানা
Advertisements

বান্ধবীর প্রতারণার খপ্পরে পড়ে আড়াই মাস আগে গণধর্ষণের শিকার হন শ্রীপুরের এক তরুণী (১৬)। ঘটনার পর সীমানা দ্বন্দ্বে দুইদিন ঘুরলেও থানায় মামলা নেননি ওসি।

দুইদিন হন্যে হয়ে ঘুরার পর সাংবাদিকদের তোপের মুখে মামলা নেন ওসি। ব্যর্থ হয়ে র‍্যাব অফিসে অভিযোগ জানানোর সময় ফোন করে ডেকে নিয়ে মামলা নেন তিনি।

শুধু তাই নয়, আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে বললে (ভিকটিমের পিতার দাবি) পুলিশকে গ্রেফতারের বিষয়ে বললে পুলিশ বলে আসামিদের খুঁজে দিলে তারা গ্রেফতার করবেন।

বুধবার (১ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভিকটিমের পিতা।

গত ১৮ মার্চ রাত ১১ টায় উপজেলার নিজ মাওনা গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। ঘটনার আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত কোনও আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (১৬) বলেন, প্রতিবেশী রুপার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। একটি কারখানায় চাকুরী করতাম আমিসহ বান্ধবী রুপা। চাকুরীটা ছেড়ে দেওয়ার পর বেতন তুলতে যাই আমরা দুজন। বেতন উত্তোলনের পর রুপা আমাকে বেড়ানোর কথা বলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিজমাওনা গ্রামে নিয়ে যায়। পরে উপজেলার শেষ সীমানার কাছাকাছি নিজমাওনা গ্রামের একটি আকাশমনি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে রুপা তার প্রেমীকের সাথে দেখা করে অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আমাকে জানায়। বাগানের ভেতরে অনেকদূর যাওয়ার পর আমি চলে আসতে চাই। তারপর আমাকে মিথ্যা কথা বলে বান্ধবী রুপা আরও ভেতরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা নাজমুল ও সিএনজি চালক এরশাদ আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে প্রথমে এরশাদ ও পরে নাজমুল আমাকে ধর্ষণ করে। এসময় রুপা ও শরীফুল আমার হাত-পায়ে ধরে রেখে ধর্ষণে সহায়তা করে। এ ছাড়াও পুলিশ শ্রীপুর আর সখীপুর সীমান দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে শুরুতে মামলা নিতে টালবাহানা করে দুইদিন বিলম্ব করেছিল।

ওই মামলায় আসামিরা হলো, নিজ মাওনা গ্রামের নাজমুল (২১) ও ফজু মিয়ার সন্তান এরশাদ (২৬)। যারা গণধর্ষণে সহায়তা করছেন তারা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার সিংদিঘী গ্রামের রশীদের সন্তান রুপা (১৮)। নিজ মাওনা গ্রামের মনির হোসেনের সন্তান শরীফ (২০), একই গ্রামের হাবীবুর রহমান (২২) ও ইমরান হোসেন (২১)।

রোববার (১ মে ২০২২) সকালে এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত চলমান। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলা হয়েছে এখনও কিসের তদন্ত? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তবুও তদন্ত করে আসামি গ্রেফতার করা হবে।

Advertisements