অনেকে কচুর লতি খেতে পছন্দ করেন। চিংড়ি দিয়ে কচুর লতির রান্নার তুলনা নেই। এছাড়া অনেকে শুটকি কিংবা ইলিশ মাছ দিয়েও এই সবজি খেতে পছন্দ করেন। যদিও কচুর লতি খেলে অনেকের গলা চুলকায়। কিন্তু সেই সমস্যা বাদ দিলে এটি পুষ্টি গুণে অনন্য একটি সবজি।
পুষ্টিবিদদের মতে, কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি রয়েছে। নিয়মিত এ সবজি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. গরমকালে ঘাম হয়ে শরীর শুকিয়ে যায়। শীতকালে আবার পানি কম খাওয়া হয়। তাতেও শরীর শুকিয়ে যায়। নিয়মিত কচির লতির তরকারি খেলে শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
২. কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আর ভিটামিন বি রয়েছে। মস্তিষ্কের পুষ্টিতে এটি সাহায্য করে।
৩. যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কচুর লতির তরকারি খেতে পারেন। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৪. অনেকের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। রাতে চোখে ভালো দেখতে পান না অনেকেই। কচুর লতি নিয়মিত খেলে এই সমস্যাও কমে যায়।
৫. কচুর লতি আয়োডিনের ভালো উৎস হওয়ায় এটি রক্তশূন্যতা পূরণে ভূমিকা রাখে।
৬. কচুর লতিতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে।
যারা গলা চুলকানোর ভয়ে কচুর লতি এড়িয়ে চলেন তাদের জন্যও সমাধান আছে। সেক্ষেত্রে তরকারিতে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিলে এই সমস্যা একেবারে কেটে যায়।