ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর তৃতীয় দিনের মাথায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পরমাণু বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একইদিন দুই দেশ বেলারুশে শান্তি আলোচনায় বসার ব্যাপারে সম্মত হয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পরমাণু বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, জার্মানি এবং ইউরোপের আরো কয়টি দেশ শনিবার হুমকি দিয়েছিল যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই বেগবান করার জন্য তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং সামরিক সহযোগিতার যোগান বাড়াবে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ করা না হয় তাহলে তা ন্যাটোর সঙ্গে সামরিক সংঘাতে রূপ নেবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, “আমরা যদি পুতিনকে ইউক্রেনে থামাতে না পারি তাহলে বাল্টিক প্রজাতন্ত্রগুলো, পোল্যান্ড এবং মলদোভা একইভাবে রুশ আগ্রাসনের ঝুঁকির মুখে পড়বে। পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত ন্যাটোর সঙ্গে সংঘাতের দিকে চলে যেতে পারে।”
জার্মানি ও ব্রিটেনসহ ইউরোপের দেশগুলোর এই হুমকি ও পদক্ষেপের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশের পরমাণু বাহিনীকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকায় নির্দেশ দেন। ইউরোপীয় দেশগুলোর এই হুমকিকে বৃহত্তর যুদ্ধের প্রস্তুতি বলে গণ্য করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য যে কোন বিপর্যয় এড়ানোর জন্য তিনি চূড়ান্ত পর্যায়ের সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এই কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিন পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে তার দেশের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা বাহিনীকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেন যাতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় রুশ বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।