কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল অভিযোগ করেছেন, তার দেশকে ‘ধ্বংস’ করার সাম্প্রতিক মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “ওয়াশিংটন শত শত কোটি ডলার খরচ করে কিউবাকে ধ্বংস করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিউবাকে ‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করার একদিন পর প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-কানেল এ প্রতিক্রিয়া জানালেন।
কিউবার প্রেসিডেন্ট তার টুইটার পোস্টে লিখেছেন, “একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র এমন একটি রাষ্ট্র যার প্রতিক্রিয়াশীল সংখ্যালঘুদের খুশি করতে এবং ব্ল্যাকমেইল করার জন্য কিউবার এক কোটি ১০ লাখ জনগণ তথা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়।”
কিউবার প্রেসিডেন্ট তার দেশের বিরুদ্ধে ১৯৬২ সাল থেকে আমেরিকার বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে যা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে পুনরায় কার্যকর করা হয়।
বাইডেন বৃহস্পতিবার তার বক্তব্যে ‘নিজের জনগণের ওপর নিপীড়ন’ চালানোর জন্য হানাভাকে অভিযুক্ত করে বলেন, কিউবায় ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা জোর করে তুলে দেয়ার চেষ্টা চালাবে তার প্রশাসন।
এর প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-কানেল বলেন, “কিউবার জনগণের জন্য প্রসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনের জন্য বিন্দুমাত্র দরদ থাকত তাহলে তিনি ট্রাম্পের শাসনামলে আরোপিত ২৪৩টি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেন। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তত ৫০টি আরোপ করা হয়েছে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর।”
কিউবায় সম্প্রতি টানা পাঁচ দিন ধরে সরকার বিরোধী সহিংসতায় অন্তত একজন নিহত ও বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত একশ জনকে আটক করেছে। প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল সরকার এই সহিংসতার জন্য সরাসরি আমেরিকাকে দায়ী করেছে।#
পার্সটুডে