কালবৈশাখীর হিট - কালবৈশাখীর হিট শকে প্রায় শত হেক্টর জমির ধান চিটা - সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ
Advertisements

কালবৈশাখীর সাথে বয়ে যাওয়া গরম বাতাস দেশের বিভিন্ন স্থানে গত রবিবার কৃষকের সোনালী স্বপ্নে হানা দিয়েছে, কৃষকেরা পড়েছে ভয়ানক ক্ষতির মুখে ।সেই অভিশাপে বাদ পড়েনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা ।কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বয়ে যাওয়ার তপ্ত বাতাসে কালিয়াকৈর উপজেলার প্রায় শত হেক্টর জমির ধান চিটা হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে ।

কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকার ফয়েজুল্লাপুর, কাতলমারা, আড়াইবিল, বগাবাড়ি বিলের ধান চিটা হয়ে গেছে। আচমকা এ দূর্যোগে পড়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন এই সকল কৃষকেরা। নিজেরা খাবেন কি? ঋণ পরিশোধ করবেন কি দিয়ে? সেই চিন্তায় দিশেহারা এখন চাষীরা।

গেলো শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরম বাতাসের কারণে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রায় একশত হেক্টর জমির বোরো ধান চিটা হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, উপজেলায় এবার দশ হাজার একশত বিশ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাপুরের কৃষক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে উপজেলায় সূত্রাপুর ও ঢালজোড়া ইউনিয়নে প্রায় ১০০ শত হেক্টর জমির বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাপুরের কৃষক আনোয়ার হোসেন ও চাঁন মিয়া জানান, কালবৈশাখী ঝড় বা শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয় জানি। কিন্তু গরম বাতাসে ধানের এমন ক্ষতি কখনো দেখিনি ও শুনিনি। সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখি থোড় শুকিয়ে ধান চিটা হয়ে আছে। ঋণ করে ধান ক্ষেত করেছি কিভাবে যে ঋণ পরিশোধ করবো তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। এখন পরিবার নিয়ে আমরা খাব কি?

এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারের কাছে সহযোগীতার আকুল আবেদন জানান।

কালিয়াকৈর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হিট শকে আক্রান্ত ধান খেতে পানি রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তবে এখন চাষি ভাইদের জন্য করণীয় হচ্ছে, খেতে পানি ধরে রাখা। ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন প্রয়োজন জমিতে দুই থেকে তিন ইঞ্চি পানি রাখা। এতে করে হিট শক কিছুটা এডজাস্ট করা যাবে বলে জানান।

প্রতিনিধি/ ইয়ামিন হোসেন পাটোয়ারী

Advertisements