কাপাসিয়ায় রুবেল হত্যার ২ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
Advertisements

২০২০ সালের ৭ এপ্রিল গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোকনগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে রুবেলকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নদীতে ফেলে হত্যার মামলায় প্রায় দুই বছর পর এক আসামি ধরা পড়েছে ময়মমনসিংহে।

গ্রেপ্তার কামরুল ইসলাম (৩১), ময়মনসিংহের পাগলা থানার বারইহাটি এলাকার আব্দুস সহিদের ছেলে। নিহত রুবেল মিয়া (৩২), গাজীপুরের কাপাসিয়া টোক নয়ন বাজার এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার যুবককে গাজীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঘটনার দুইদিন পর ২০২০সালের ৯এপ্রিল ভিক্টিমের বাবা বাদি হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের পিবিআই পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, ভিকটিম রুবেল মিয়া কাপাসিয়ার টোক নয়ন বাজারে পেঁয়াজু, নিমকি, মুড়ালী ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা করতেন। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল বিকেলে রুবেল মিয়া এবং মোঃ রিপন, বিমল বর্মন, নাছির উদ্দিন, মোঃ আরিফ, আরিফ মিয়া, দিলিপ ঘোষ টোক নয়ন বাজারস্থিত শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বরমী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে তারা কাপাসিয়া থানাধীন টোক নগর এলাকার আব্দুল হাই মুন্সির চর জমি সংলগ্ন নদীর কিনারে পৌঁছলে কামরুলসহ তার সঙ্গীয় কয়েকজন অপর একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকা থেকে টোক নয়ন বাজারে যাচ্ছিল।

এসময় নৌকার সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় নৌকার লোকজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে কামরুল তার লোকজন নিয়ে রুবেলকে মারপিট করে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে নৌকা হতে পানিতে ফেলে দেয়। এসময় রুবেলের সঙ্গে থাকা অন্যরা সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠতে পারলেও রুবেলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার দুইদিন পর ২০২০সালের ৯ এপ্রিল সকালে কাপাসিয়া থানাধীন টোক নগরের আব্দুল হাই মুন্সির চর জমি সংলগ্ন নদীর কিনারে রুবেল মিয়ার অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের প্রায় ৬ মাস তদন্ত করেও কাপাসিয়া থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকার নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পায় গাজীপুরের পিবিআই।

পরে দীর্ঘ তদন্ত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার ময়মনসিংহের পাগলা থানার বারইহাটি এলাকা থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার যুবককে গাজীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisements