গাজীপুর কাপাসিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণে ছোট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালীরা টাকার বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
জানা যায়, উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক নগর গ্রামের বোরহানউদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকেই তার বিধবা স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে বড় ভাই হাফিজউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক মেলামেশা করে আসছেন। মেলামেশার এক পর্যায়ের ছোটভাইরে বিধবা বউ ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য বারবার চাপ দিলেও তার কথায় কর্ণপাত করেনি ভাসুর হাফিজউদ্দিন। অভিযুক্ত হাফিজউদ্দিন উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক নগড় পূর্বপাড়া মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই বিয়া করবে বলে আমার সাথে মেলামেশা করে ভাসুর হাফিজউদ্দিন। আমার গর্ভে তার পাঁচ মাস বয়সের সন্তান। তার বউ বিদেশ থাকায় আমাকে বিয়ে করে সুখের সংসার করবে বলে জানিয়ে ছিলেন। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে গাড়ির নিচে অথবা নদীতে লাফ দিয়ে মরন ছাড়া আমার কোন রাস্তা নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাসুর হাফিজউদ্দিনের ধর্ষণে ভুক্তভোগী মহিলাটি এখন প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার গর্ভের সন্তানটি ভালো আছে এবং মেয়ে সন্তান হবে বলে জানান তিনি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিমের সাথে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।