‘মাথা গোঁজার একমাত্র সম্বল আছিল ঘরডা। এই ঘরডা এখন আর নাই। থাহাম কই আর যায়াম কই? কিচ্ছু জানি না। ঘরে টেহাও নাই। বাপ আমাগো ছেড়ে চলে গেছে অনেকদিন অইছে।
ভাওয়াল বার্তা প্রতিনিধির কাছে কেঁদে কেঁদে এভাবেই আক্ষেপ প্রকাশ করেন সদ্য ঘর হারানো গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের লোহাদী গ্রামের নাদিম।
তিনি বলেন আমরা দুই ভাই একসাথে থাকতাম। বড় ভাই নাজমুল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। সে জলপাইতলা বাজারে একটা দোকানে টুকটাক কাজ করে। দিনে ১০০ টাকার বেশি ইনকাম হয় না। ঘরটি ছাড়া তাদের সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না। নাদিম বলেন গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ আগুন লেগে আমাদের শেষ সম্বল ঘরটা পুড়ে যায়। সর্বনাশা আগুন আমাদের সব পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। আগুনে পোড়া ঘরটির দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে অশ্রু ঝরানো ছাড়া কিছুই করার নেই। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা কোন ভাবেই নতুন ঘর করতে পারব না। বলেই আবার কেঁদে দিলেন নাদিম।
স্থানীয় এক মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার মাদ্রাসা থেকে উদের বাড়ি নিকটে। ঘর পুড়ায় ঘটনা শোনার সাথে আমি তাদের বাড়িতে যাই। ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। নাদিম ও নাজমুল খুবই অসহায়। নাদিম বাবুর্চির কাজ করে। নাজমুল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তাদের দুইজনের দৈনিক আয় ২০০ টাকার বেশি হবে না। আমি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ইয়াগের আহ্বায়ক সোহেল রানা সাহেল বলেন, আমি ওদের ঘর পোড়ার ঘটনাটা শুনেছি। আমার কাছে খুব কষ্ট লেগেছে। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে যা পারি সাহায্য করব ইনশাআল্লাহ। সমাজের বিত্তশালীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করছি।
বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদ ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন খবর পেয়ে আমি ঘনটাস্থলে গিয়েছি। ঘটনা খুবই হৃদয়বিদারক। পরিবারটা অত্যন্ত দরিদ্র। দুই ভাইয়ের ঘরটিই ছিল একমাত্র সম্বল।