
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে “শাহ রিয়াজুল হান্নান” সমর্থকদের সশস্ত্র হামলায় মতবিনিময় সভা পণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার (১৭ মে) দুপুরে চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম এবং সভাপতিত্ব করেন উপজেলার সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান।
সভার একপর্যায়ে বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ করে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে এসে উপস্থিত হয় গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান এর সমর্থক নেতাকর্মীরা। তারা উচ্চস্বরে “রিয়াজ ভাই” নামে স্লোগান দিতে দিতে সভাস্থলে ঢুকে পড়ে এবং কোনো উসকানি ছাড়াই প্যান্ডেল, চেয়ার-টেবিল, মাইক, সাউন্ড সিস্টেমসহ সব কিছু ভাঙচুর শুরু করে।
এরপর তারা একটি কক্ষে অবস্থানরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন রকি হোসেন ভিডিও ধারণ করার সময় তাকে টেনে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার ক্যামেরা, আইডি কার্ড, মাইক্রোফোন, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আহত রকিকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রকি হোসেন বলেন, “রিয়াজুল হান্নান ভাইয়ের নাম নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তারা সভাস্থলে এসে আমার ওপর হামলা চালায়। আমি ভিডিও করছিলাম বলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার সব সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়।”
হামলায় আরও আহত হন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ সামসুল হক রিপন, দেশ রূপান্তরের আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, হাসমত আলীসহ অন্তত ১০ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”
তবে ঘটনাটি নিন্দা জানিয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন মণ্ডল জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।