কাপাসিয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ
Advertisements

গাজীপুরের কাপাসিয়ার ভাওয়াল চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে “অনৈতিক কাজ” করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। এ সময় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দেন।খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ওই ছাত্রীকে নিয়ে সিএনজি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পেরে ছাত্রীর বাড়িতে যান। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে আটক করলে উত্তেজিত এলাকাবাসী গণধোলাই দেয়। এ সময় শিক্ষকের সঙ্গে নগদ ২৫ হাজার ৫৯০ টাকা পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ধৃত শিক্ষককে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মুচলেকা রেখে প্রধান শিক্ষককে ছাড়িয়ে নেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল কিশোরগঞ্জের নিকলী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যেত। মঙ্গলবার কাপাসিয়ায় ঘুরাঘুরি করে ছাত্রীর বাড়িতে ওই ছাত্রীকে রেখে চলে গেলেও সন্ধ্যার পর আবার ওই শিক্ষক ছাত্রীর বাড়িতে আসেন। ৬-৭ দিন আগে ছাত্রীর বাড়িতে আসার কারণে শিক্ষককে মুখ বেঁধে মারধর করেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে গ্রামপুলিশ এমরান হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের পকেট থেকে ২৫ হাজার টাকা ও জন্মনিয়ন্ত্রক উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ খাঁন জানান, অন্য কোনো ছাত্রীর বাড়িতে না গিয়ে ওই শিক্ষক প্রায়ই কেন রাতের বেলা ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায় এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে একটি সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে একটি সুন্দর সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার এসআই মো. বাহার আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রধান শিক্ষককে আটক করে নিয়ে আসার সময় চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের জিম্মায় প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisements