কমছে পেঁয়াজের দাম
Advertisements

হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পেঁয়াজের দাম। তবে এখন তা কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পাইকারী ও খুচরা উভয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে এই চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার পুরান ঢাকার শ্যামবাজার। বৃহস্পতিবার এই বাজারে ৫৫ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে, যার আগের দিনের চেয়ে কেজিপ্রতি ৮ টাকা কমে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৫৩-৫৪ টাকা কেজিতে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারেও প্রায় একই চিত্র। এই বাজারে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে পাইকারী দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে দেশি সবচেয়ে ভালো পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায়। আর ফরদিপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা কেজিতে। এই বাজারে ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা কেজিতে। তবে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকা প্রতি কেজি।

এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর রামপুরা ও মালিবাগ এলাকার বাজারেও। এই বাজারগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।

গত ২০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। ২০ দিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যদিও দেশে প্রায় পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত থাকার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তার ভাষ্য মতে, মজুত থাকা পেঁয়াজ দিয়ে আরও অন্তত দুই-তিন মাসের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতে বন্যার অজুহাতে পেঁয়াজ আমদানি করেও বাজারে বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে অব্যাহতভাবে বাড়ছে পণ্যটির দাম।

যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া পূজার কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি প্রায় বন্ধ। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে।

Advertisements