মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশু ও তিন নারীসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্যসহ বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালান। তবে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার সময় জেলেরা ও বিজিবি সদস্যরা ২৪ জনকে উদ্ধার করলেও বিজিবির এক সদস্যসহ আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের তথ্যমতে, নৌকাটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “নৌকাডুবির ঘটনায় চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।”
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, “সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নৌকার তলা ফেটে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন এবং শিশুসহ ২৪ জনকে উদ্ধার করেন। তবে এক বিজিবি সদস্য উদ্ধার অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হন।”
নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
