এবার মাদানীর বিরুদ্ধে পুলিশের পর্নোগ্রাফির মামলা
Advertisements

‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত যুবক রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল ফোনে প্রচুর অ্যাডাল্ট কনটেন্ট বা পর্নো ভিডিও ক্লিপ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। মাদানীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব পর্নোগ্রাফির সন্ধান পায়। যে কারণে তার বিরুদ্ধে করা আগের মামলার সঙ্গে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বিতর্কিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল ফোনে আপত্তিকর অ্যাডাল্ট কনটেন্ট অশ্লীল পর্নো ভিডিও ক্লিপ পায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তার বিরুদ্ধে করা আগের মামলার সঙ্গে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫) (ক) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে কারা অর্থায়ন করত, এখান থেকে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রম চালানো হতো কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, কারাগারে থাকা রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল সকালে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের আদেশ পেলে তাকে রিমান্ডে এনে পর্নোগ্রাফির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এডিসি মোহাম্মদ আহসান, গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন ও পরিদর্শক (তদন্ত) নন্দলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের সময় রফিকুলের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি গাজীপুরের কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।

Advertisements