সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত রোববার মাঠে নেমেছিল জার্মানির ১১তম ডিভিশনের দল রিপডর্ফ।
আর এতে প্রতিপক্ষ দল এসভি হোল্ডেনস্টেডের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে তারা।
এক হালি বা দুই হালিও নয়, একে একে ৩৭ গোল হজম করেছে রিপডর্ফ । একটিও শোধ দিতে পারেনি তারা।
এমন হারের জন্য অবশ্য করোনায় সামাজিক দূরত্ব মানাই কাল হয়ে দাঁড়ায় রিপডর্ফের জন্য।
করোনা ঝুঁকি এড়াতে রিপডর্ফের খেলোয়াড়রা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ম্যাচটি খেলেছে। কোনো খেলোয়াড় অন্য খেলোয়াড়ের কাছাকাছি আসেননি। এমনটি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দেরও চার্জ করতে যাননি।
এই সুযোগে একের পর এক গোল করেছে হোল্ডেনস্টেড। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে স্কোরলাইন দেখা যায় ৩৭-০ গোলে জিতেছে হোল্ডেনস্টেড।
হোল্ডেনস্টেডের খেলোয়াড়রা করোনা ঝুঁকির তেমন একটা তোয়াক্কা করেনি।
এই ম্যাচের আগে খবর আসে, হোল্ডেনস্টেড দলটিতে করোনা আক্রান্ত স্টাফ রয়েছে। এমন খবরে ম্যাচ ১৪ দিনের জন্য পিছিয়ে দিতে আবেদন জানালেও তা মানেনি হোল্ডেনস্টেড। কর্তৃপক্ষও হোল্ডেনস্টেডের পক্ষে অবস্থান নেয়।
উল্টো কড়াকড়ি আরোপ করে,নির্ধারিত দিনে ম্যাচ না খেললে বড়সড় শাস্তি মাথা পেতে মেনে নিতে হবে রিপডর্ফকে।
আর এমন নিয়মের বলি হতে হয় রিপডর্ফকে।একপ্রকার বাধ্য হয়েই রোববারের ম্যাচটি খেলতে নামে রিপডর্ফ।
ম্যাচে অংশ নিলেও করোনার সব বিধিনিষেধ মেনেই খেলা শেষ করে দলটি। সেই সুযোগে ৩৭ গোল হজম করে দলটিঅ
ম্যাচের পর রিপডর্ফ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক রিস্টো বলেছেন, ‘আমাদের দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় ম্যাচ শুরুর আগেই জানায় যে, তারা নিরাপদ থাকার জন্য হোল্ডেনস্টেড খেলোয়াড়দের কাছাকাছি যাবে না। তাই এমন ফলাফল হয়েছে।’
তবে ভিন্ন মত হোল্ডেনস্টেডের কোচ ফ্লোরিয়ান শায়েরওয়াটারের।
তিনি বলেছেন, ‘যেই খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো খেলোয়াড়ের সংস্পর্শ ছিল না। তবু সতর্কতাস্বরুপ আমাদের খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। সবার ফল নেগেটিভ এসেছে।’
তথ্যসূত্র: গোল ডট কম