বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সবধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। ৩০ টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল বিএনপি ও তার সমমনা পার্টিগুলো এখনো নির্বাচনের বাইরে। ফলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে কোন রাজনৈতিক দলকে বাইরে রেখে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
অনেকের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বাত্মক দমননীতি গ্রহণ করেছে। জনগণকেও প্রতিপক্ষ বানানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। এমন প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হবে সাজানো ও একতরফা যা রাষ্ট্রের সামর্থ্য ও সম্ভাবনাকে গভীর সংকটে ফেলবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের। নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার মত করেও দাবি তুলছেন কোন কোন আলোচক।
এ প্রসঙ্গে, সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গেছে যেখান থেকে উত্তোরণের সুযোগ এখন খুবই কম। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) অবৈধ উল্লেখ করে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এর আগে জালিয়াতির নির্বাচনের কারণে এই সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচন কমিশনেরও এই তফসিল ঘোষণা করার কোনো অধিকার নেই। চলমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্লেষকরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর লাখ লাখ সদস্যকে আইনের তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবহার করছে সরকার। এখন র্যাব টহল দিচ্ছে, বিজিবি টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনীকেও হয়তোবা টহল দিতে নামানো হবে। তবে জনবিক্ষোভের মত কোন পরিস্থিতি যেন সরকারকে মোকাবিলা করতে না হয়, সেই প্রস্তুতিও জরুরি বলেই মন্তব্য বিশেষজ্ঞ মহলের।