ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কে ফিরে গেল তুরস্ক
Advertisements

বেশ কয়েক বছরের কূটনৈতিক টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে গেল ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তুরস্ক। গতকাল (বুধবার) এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

তিনি আরো বলেছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে তুরস্ক ও ইসরাইল পরস্পরের রাজধানীতে রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে।

চাভুসওগ্লু আঙ্কারা সফররত কিরঘিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিনবেক কুলুবায়েভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা তুরস্কের পক্ষ থেকে ইসরা্‌লের রাজধানী তেল আবিবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছি।” দুই পক্ষ তাদের রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা করার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেছে বলে জানান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি দাবি করেন, ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অর্থ এই নিয় যে, তুরস্ক ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সমর্থন জানানো থেকে পিছিয়ে আসবে।চাভুসওগ্লুর আগে ইহুদবিাদী প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপদি বুধবারই এক বিবৃতিতে জানান, তেল আবিব-আঙ্কারা সম্পর্ককে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত মার্চ মাসে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ তুরস্ক সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সফরের মাধ্যমে আঙ্কারা ও তেল আবিবের এক দশকেরও বেশি সময়ের উত্তেজনাকর সম্পর্ক প্রশমিত হয়ে আসে।

২০১০ সালের মে মাসে অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসাহায্যবাহী একটি তুর্কি জাহাজের বহরে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। হামলায় বেশ কয়েকজন তুর্কি নাগরিক নিহত হন। ওই ঘটনার জের ধরে তুরস্ক ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। পরবর্তীতে সে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হওয়ার পর ২০১৮ সালে ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকার ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। সে ঘটনার জের ধরে আবার ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে আঙ্কারা।

Advertisements