ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং কৌশলগত হুদাইদা প্রদেশের কয়েকটি বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।
ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজধানী সানার কাছে হাজিজ এবং দাহবান বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমানগুলো বোমাবর্ষণ করেছে। একই সঙ্গে হুদাইদা বন্দরের রাস ইসা তেল শোধনাগারেও হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাদের এই বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা এই অভিযান চালিয়েছে। তাদের দাবি, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো সামরিক অভিযানের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে আনসারুল্লাহ আন্দোলনের পলিট ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেছেন, “ইসরাইল ও মার্কিন সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভুয়া দাবি উন্মোচিত হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “ইসরাইলের এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেন সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।”
ইসরাইলের এই হামলার পেছনে ইয়েমেন থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল শোধনাগারগুলো সামরিক নয়, বেসামরিক স্থাপনা ছিল।
এই হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় হামলার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।