জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় পর্যটন বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি প্রতিনিধিদল ভিসার আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ। মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই খবর দিয়েছে।
ইসরাইল দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করার চেষ্টা করে আসছিল। রিয়াদের পক্ষ থেকে ইসরাইলি প্রতিনিধিদলকে ভিসা দিতে অস্বীকার করার মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-উলা শহরে দুই দিনব্যাপী এই পর্যটন বিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় কাফ্র কামা শহরের একটি প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানায়। ইসরাইলি প্রতিনিধিদল বাদে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়া বিশ্বের ২২টি দেশকে ভিসা দিয়েছে সৌদি সরকার।
ইসরাইলের দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের মধ্যে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের আয়োজক সংস্থার কাছে একটি চিঠি পাঠায় যাতে ইসরাইলি প্রতিনিধিদলকে ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য পীড়াপীড়ি করা হয়। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ ইংরেজি প্রতিনিধিদলকে ভিসা দিতে রাজি হয়নি।
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ব্যাপারে ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে যে আশা নিয়ে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছিল তা হয়তো বিনষ্ট হবে বলে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন। ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর রিয়াদের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে ধারণা ছড়িয়ে পড়েছিল, বর্তমান বাস্তবতা তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ব্যাপারে একটি চুক্তি সইয়ের তিনদিন পর ইসরাইলি প্রতিনিধিদলকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ভিসা প্রদানে অস্বীকৃতির খবর বের হলো। ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যকার এই চুক্তিতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ খুশি হলেও ইসরাইল প্রকাশ্যে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে।