ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি অর্জন করেছে
Advertisements

ইরানের ইসলামী বিপ্লবি গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, তার দেশের সশস্ত্র বাহিনী সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি অর্জন করেছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির এই সফলতা অর্জনের জন্য তিনি সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানান।

জেনারেল সালামি বলেন, ইরান এখন বিশ্বের শীর্ষ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির অধিকারী একটি দেশ।

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি এলাকায় গার্ডিয়ান্স অব বেলায়াত স্কাই-১৪০০ নামে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যে মহড়া চালাচ্ছে তার দ্বিতীয় দিনে জেনারেল সালামি এসব কথা বললেন।

তিনি বলেন, “অপ্রত্যাশিত যেকোন ঘটনা মোকাবেলায় ক্ষেত্রে এই মহড়ায় ব্যবহৃত অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রপাতি এবং সামরিক সরঞ্জাম আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উপলব্ধি করেছি।”

জেনারেল সালামি বলেন, আল্লাহর রহমতে এ মহড়া চলাকালে কল্পিত শত্রুর প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুতে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে প্রথম প্রচেষ্টাতেই আঘাত করতে সক্ষম হয়েছি। এর কারণ হচ্ছে- আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন এবং সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ফোর্স সর্বাধুনিক ও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে।

মহড়ার দ্বিতীয় দিনে গতকাল শত্রুর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানের খাতামুল আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাদের রাহিমজাদে বলেছেন, গতকাল জওশান ও খাতাম নামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালানো হয়ে ছ। দুটি ব্যবস্থাই নিখুঁতভাবে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, এই প্রথম এই দুই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালানো হলো। জওশান নামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ইরানের ‘ফিফটিন খোরদাদ’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ বলে তিনি জানান। ইরানের এ কমান্ডার বলেন, নানা হুমকি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এমন কোনো হুমকি নেই যা বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

পার্সটুডে

Advertisements