সল্লিদের ঢল নেমেছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। ইতোমধ্যে ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এসেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর বাস, ট্রাক ও পিকআপে করে জামাতবন্দি হয়ে নানা বয়সী মুসল্লিদের আসতে দেখা গেছে। ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে।
জানা গেছে, বাদ ফজর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা। সকাল ১০টায় তালিমের আমল করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা ওমর খতিব। বাদ আছর বয়ান করবেন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের। শুক্রবার বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট।
পরদিন শনিবার ইজতেমার ময়দানের আলেম, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বয়ানের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিন বাদ আসর ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চের পাশে যৌতুকবিহীন গণবিয়ের আয়োজন করা হবে। ইজতেমার মাঠের গণবিবাহের আয়োজনে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তাবলিগের সাথীদের।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পর্বে অংশ নিতে এখন মাঠে আসছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
এর আগে গত বছর আলমী শূরার বিশ্ব ইজতেমায় নগদ দেন মোহরে শতাধিক যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে তাবলিগের মুরব্বিরা ইসলামি নিয়মে বিয়ের বিধান নিয়ে প্রথমে বয়ান করেন। বয়ান শেষে বর-কনের অভিভাবকদের সম্মতিতে বরের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত দম্পতিদের স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খুরমা খেজুর বিতরণ করা হয়।