শ্রীপুরে আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতি চেষ্টায় মামলা
Advertisements

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া অ্যাডভাইস দাখিলের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রহমান, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর আরিফুর রহমান, মাস্টাররোলে কর্মরত তানভীরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর থানা হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক মো রেজাউল হক। ইতোমধ্যেই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন (৫ জুলাই) এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অন্য আসামিরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নওদাবস নিউ বড়ভিটা গ্রামের রনজিত কুমার, প্রবাশচন্দ্র রায়, সুবলচন্দ্র মোহন্ত, কমলচন্দ্র রায়, ফুলমনি রানী, ঢাকার উত্তরখান জামতলা এলাকার শাহেনা আক্তার।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে অফিসেরই কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা আমার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এ বিল ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া তানভীর ওই অ্যাডভাইসগুলোতে আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসিয়েছে। আমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নই।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর থানার হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, বিধি অনুযায়ী হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে অ্যাডভাইস এলে আমরা টাকা পরিশোধে বাধ্য। মোটা অঙ্কের টাকা হওয়ায় আমরা প্রথমে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে ফোন করলে তিনি এর নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। আমাদের অনুসন্ধানে শেষ পর্যন্ত এ জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা অ্যাডভাইসের মাধ্যমে পাঁচটি বিল পরিশোধের (সরকারি চাকরিজীবীর আনুতোষিক) লক্ষ্যে মোট ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা প্রদানের জন্য মাস্টাররোলের কর্মচারী তানভীর অ্যাডভাইসের হার্ড কপি ব্যাংকে নিয়ে আসেন। মোটা অঙ্কের টাকা হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এ সময় ব্যাংক থেকে হিসাবরক্ষণ অফিসে ফোন দেওয়া হয়। এ সময় হিসবারক্ষণ কর্মকর্তা এসব অ্যাডভাইসের নিশ্চয়তা দেন। অ্যাডভাইস অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম শাখায় অভিযুক্ত রনজিত কুমারের সঞ্চয়ী হিসাবে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২০ টাকা, প্রবাশচন্দ্র রায়ের হিসাব নম্বরে ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা, সুবলচন্দ্রের হিসাব নম্বরে ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ টাকা, কমলচন্দ্রের হিসাব নম্বরে ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮০ টাকা, ফুলমনি রানীর হিসাব নম্বরে ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৫২০ টাকা দেওয়া হয়।

Advertisements