ইরানের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা শুধুমাত্র সেদেশের জনগণের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে। বিদেশি সেনা উপস্থিতি এ অঞ্চলে কেবল নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
রায়িসি রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ মন্তব্য করেন। এ সময় তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইরানের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট বলেন, “আফগানিস্তানের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ নিরাপত্তা আফগানদের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।”
আঞ্চলিক সার্বিক নিরাপত্তা এ অঞ্চলের সবগুলো দেশের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে- উল্লেখ করে রায়িসি বলেন, “বহিঃশক্তিগুলো নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার অজুহাতে সেনা মোতায়েন করলেও তারা নিরাপত্তাহীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক অস্থিতিশীলতা ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি।”
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে সারাদেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির মোট ৪০০ জেলার মধ্যে অন্তত ১০০ জেলা দখল করার দাবি করেছে তালেবান। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তালেবান আবার আফগান সরকারের পতন ঘটাতে পারে। প্রায় দুই দশকের যুদ্ধ ও দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে আফগানিস্তান থেকে যখন বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলছে তখন দেশটিতে তালেবান তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে শুরু করেছে।
টেলিফোনালাপে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আফগানিস্তানের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কূটনীতিকে আফগান সংকট সমাধানের শ্রেষ্ঠ উপায় হিসেবে বর্ণনা করে ইমরান খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কূটনীতি বা সংলাপ সহজ হবে বলে মনে হয় না। তিনি ইরানের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে অচিরেই সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পার্সটুডে