ইরানের প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হাসান কাজেমি কোমি বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে অভিন্ন শত্রুর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সম্মত হয়েছে ইরান ও আফগানিস্তান। তিনি নিজের সাম্প্রতিক আফগানিস্তান সফর ও দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে এই সতর্কতার কথা জানিয়েছেন।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানর ক্ষমতা গ্রহণ করার পর ইরান অতীতের মতোই দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার কাজে সহযোগিতা দেয়ার নীতি অব্যাহত রাখে। আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে যেসব দেশ কাবুলে মানবিক ত্রাণ ও নগদ অর্থসাহায্য পাঠিয়েছে ইরান সেগুলোর শীর্ষে অবস্থান করছে।
কাবুলকে সহযোগিতা করার অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর ইরানের রাজধানী তেহরানে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত করা ছিল ওই বৈঠকের লক্ষ্য।
আফগানিস্তান বিষয়ক ইরানের বিশেষ প্রতিনিধি কোমি আজ এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, আফগানিস্তান সফরে দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এসব সাক্ষাতে আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক শক্তিশালী করার ব্যাপারে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
কোমির টুইটার বার্তায় আরো বলা হয়, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক লেনদেন শক্তিশালী করতে সম্মত হয় দু’দেশ। একইসঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের মতো দু’টি ভ্রাতৃপ্রতীম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে মতবিরোধ ও উত্তেজনা উস্কে দিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন তার অশুভ লক্ষ্য হাসিল করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতেও সম্মত হয়েছে তেহরান ও কাবুল।