শিশু-কিশোরদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার পাশাপাশি ন্যায় ও সত্যের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি উন্নতির মন্ত্র বলে জানান তিনি।
বুধবার বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন লক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়াল) এ আহ্বান জানান তিনি। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, সবসময় যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। সেই সঙ্গে ন্যায় ও সত্যের পথে চলতে হবে। তা হলে জীবনে বড় হতে পারবে। জীবনটাকে উন্নত করতে পারবে। বাবা-মায়ের মুখও উজ্জ্বল হবে।পড়ালেখা ও নৈতিকচর্চার মাধ্যমে নিজেদের ‘যোগ্য’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
শিশুদের জীবনকে সুন্দর ও রঙিন করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছোট শিশুদের জীবন আরও রঙিন, আরও সুন্দর, আরও সার্থক করে গড়ে তুলতে চাই। সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আমি এটিই চাই— আজকের শিশুরা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে, জীবনটাকে সুন্দর করবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর স্কুল-কলেজে যেতে না পারায় শিশুরা যে কষ্টে আছে, সেটি উপলব্ধি করার কথাও জানান শেখ হাসিনা। ‘আমি বলব— তোমরা ছোট্ট সোনামনিরা, তোমরা ঘরে বসে পড়াশোনা কর এবং সেই সাথে খেলাধুলাও করবে। আমরা এটাই চাই যে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা— এগুলো একান্তভাবে অপরিহার্য। তোমরাই তো ভবিষ্যৎ, তোমরাই এ দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, করোনার এই প্রাদুর্ভাব কেটে যাবে। স্কুল আমরা তখনই খুলে দেব। তোমরা স্কুলে যেতে পারবে। সেই সঙ্গে খেলাধুলাও তোমরা করতে পারবে এবং এখনও করতে পার।
বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের পাবলিক প্লাজার বকুলতলা চত্বরে মহিলা ও শিশুবিয়ষক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসার সভাপতিত্বে এই শিশু-কিশোর সমাবেশ হয়।
পার্সটুডে