![শ্রীপুরে বিবিএস ক্যাবলস্ এর দখলে দুই বিঘা বনভূমি শ্রীপুরে বিবিএস ক্যাবলস্ এর দখলে দুই বিঘা বনভূমি](https://i0.wp.com/bhawalbarta.com/wp-content/uploads/2022/02/শ্রীপুরে-বিবিএস-ক্যাবলস্-এর-দখলে-দুই-বিঘা-বনভূমি.jpg?fit=900%2C489&ssl=1)
ঢাকা বন বিভাগের অধীন শ্রীপুর রেঞ্জের সাতখামাইর বিটের দুই বিঘা বনভূমি বহুবছর যাবৎ অভিনব কৌশলে দখলে রেখেছে বিবিএস ক্যাবলস্ নামক একটি কারখানা কতৃপক্ষ।
এই বনভূমি উদ্ধারে নেই কোনও তৎপরতা। অভিনব কৌশলে জমি দখলে রেখে বিবিএস ক্যাবল কারখানা ইতিমধ্যে চারপাশে সীমানা প্রচীর নির্মাণ করে রেখেছে। বন বিভাগের লোকজন তাদের জমি দেখভালের জন্য কোন ধরনের রাস্তা না রেখেই সিমানা প্রাচীর তৈরি করেছেন। বন বিভাগের দাবি এখানে অনেকবার বনায়ন (চারা রোপণ) করা হয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি মৌজার ২ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত ২৯২৩ দাগে ২৬ শতাংশ ও ২৯২৪ দাগে ৩১ শতাংশসহ মোট ৫৭ শতাংশ জমি দখলে রেখেছে বিবিএস ক্যাবলস্ নামক কারখানাটি।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রীপুর-জৈনা বাজার সংযোগ সড়কের তেলিহাটি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিবিএস ক্যাবলস্ নামক কারখানা। এই কারখানার মূল ফটকসহ সড়ক ঘেঁষা অংশে ইটের দেয়ালের পর টিনের সিমানা প্রাচীর রয়েছে। এর ভেতরে দখলে রেখেছে বনভূমি। জমিতে যাওয়ার জন্য নেই কোন ধরনের রাস্তা। কারখানার পূর্ব পাশের সড়ক ঘেঁষা পুরো জায়গা বন বিভাগের। এত উঁচু সিমানা প্রাচীর করা হয়েছে যাতে করে বাহির থেকে ভেতরে কি আছে তা দেখার কোনও সুযোগ নেই।
বিবিএস ক্যাবলসে্র এডমিন ম্যানেজার ‘হাসান’ বলেন, কারখানার সামনের জায়গা বন বিভাগের দখলে রয়েছে। কারখানার নিরাপত্তার জন্য সড়কের চারপাশে সীমানাপ্রচীর করা হয়েছে। বন বিভাগের লোকজন মাঝে মধ্যে এসে জায়গা দেখে যায়। জায়গায় চারপাশে তো উঁচু সীমানাপ্রচীর তবে কি ভাবে প্রবেশ করে ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কারখানার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে’।
সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা নওয়াব হোসেন সিকদার বলেন, কারখানার ভেতরে বনভূমি রয়েছে। তবে ওখানে চারা রোপণ (বাগান) করা হয়েছে। একবার দেয়াল ভেঙে দেয়া হয়েছিলো। পূণরায় ওঁরা টিনের দেয়াল তুলেছে। আমরা যেকোনও সময় ওই টিনের দেয়াল ভেঙে দেবো।
শ্রীপুর রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা মীর বজলুল রহমান বলেন, অনেক আগে থেকেই দখলে রয়েছে, নতুন না। তবুও দেখতেছি।
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক) রানা দেব বলেন, এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু জানি না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিব।