ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে, যার চেয়ারম্যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদনে কীভাবে কারসাজি হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান। ঐ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসান।
এ ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোসহ গ্রুপের অন্যদের তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জরিমানার টাকা আদায়ের জন্য বিএসইসিও এক আদেশ জারি করেছে। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির জন্য তিন কোটি টাকা এবং বিডিকমের শেয়ার কারসাজির জন্য বাকি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএসই’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সময় ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিল। জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন; আবুল খায়ের হিরো, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, বাবা আবুল কালাম মাতবর ও বোন কনিকা আফরোজ।
এর সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো হলো; ক্যান্ডেলস্টোন ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার ও তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি হলো; জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ ও সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস।সাকিব আল হাসান, জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ এবং আবুল খায়ের হিরো সোনালী পেপারের শেয়ার লেনদেনের তত্ত্বাবধান করেছে।
ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ১০ পয়সা হয়েছে; অর্থাৎ শতকরা ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান (ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের ক্লায়েন্ট কোড # ৩৮৯৮) এই সময়ে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের শীর্ষ ক্রেতা ছিলেন।