![কাপাসিয়ায় স্কুলে গিয়ে ছাত্রীকে পিটালেন আ. লীগ নেত্রী কাপাসিয়ায় স্কুলে গিয়ে ছাত্রীকে পিটালেন আ. লীগ নেত্রী](https://i0.wp.com/bhawalbarta.com/wp-content/uploads/2023/06/কাপাসিয়ায়-স্কুলে-গিয়ে-ছাত্রীকে-পিটালেন-আ.-লীগ-নেত্রী.jpg?fit=900%2C489&ssl=1)
শ্রেণিকক্ষে দুষ্টুমি করার অভিযোগে বেধড়ক মারধর করে স্কুলছাত্রীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে উম্মে কুলসুম শিল্পী নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে।
অভিভাবকদের অভিযোগ ও সামাজিক চাপে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ এলাকার গাজীপুর ক্যাডেট একাডেমি স্কুলে।
অভিযুক্ত উম্মে কুলসুম শিল্পী ওই স্কুলটির পরিচালক ও জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক। মারধরের শিকার সিদরাতুল মুনতাহা মীম ওই স্কুলের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বেলাশী গ্রামের মফিজুল হকের মেয়ে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর চাচা মুঞ্জুরুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে ক্লাসে কোনো একটি বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করে কয়েকজন ছাত্রী। এ সময় ক্লাস শিক্ষক তাদের শাসন করেন। বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় দেখে ওই স্কুলের পরিচালক শিল্পী তেড়ে আসেন।
প্রথমে প্লাস্টিকের চেয়ার ও পরে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। এতে মীমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে জানান মারধরের শিকার মীমের পরিবার।
মারধরের কথা স্বীকার করে জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য উম্মে কুলসুম শিল্পী বলেন, দুষ্টুমির জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ যুগের মেয়েরা বেশি অন্যরকম। তার পরও আহত শিক্ষার্থীকে আমাদের খরচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন মীমাংসার পথে। এটা নিয়ে আর নিউজ করার দরকার নেই।
নিউজ বন্ধ রাখার আমন্ত্রণ জানিয়ে চায়ের দাওয়াত দেন অভিযুক্ত ওই নেত্রী।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনা অবগত হয়েছি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও অবগত আছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আমি ছবি দেখেছি। শিক্ষা কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে ছাত্রীর পরিবার ও স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।