ওবায়দুল কাদের
Advertisements

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরি এবং যেকোনো ধরনের উসকানি না দিতে আন্দোলনকারীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তবে তার আগেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজপথে কর্মসূচি দেয়া হবে না, তবে বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ, নিন্দা অব্যাহত থাকবে।

সোমবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক এ কথা জানান।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে মোদিকে অতিথি না করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে মোদির সফরের বিরোধিতা করলেও তাকে ঠেকাতে কর্মসূচি দেওয়া হবে না জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামব? আমরা কি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মতো জাতীয় এই অনুষ্ঠানকে পণ্ড করার মতো পদক্ষেপ নেব? তখন দেশব্যাপী অপপ্রচার করা হবে হেফাজত স্বাধীনতাবিরোধী। সেই সুযোগ কাউকে দেবে না হেফাজত। ধর্মীয় দায়িত্ব এবং নাগরিক অধিকারের জায়গা থেকে মোদির সফরের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে; সংঘাতমূলক কর্মসূচি নয়।’

ওদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পেছনে ভারতের সৈনিকদের রক্ত আছে। আর সেই বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনেক রাষ্ট্র প্রধান আসছেন। কিন্তু কোথাও বিরোধিতা নেই। তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে আসা নিয়ে এতো বিরোধিতা কেন? এরা সেই পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি যারা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাংলাদেশে কথিত ভারতের বিরোধের নামে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনেছিল। যারা এদেশে জঙ্গির উত্থান করেছিল। এখন সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ঐক্যব্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার।’

রোববার (২১ মার্চ) রাতে কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা দেশ ও ধর্মের শত্রু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। যেখানে সকলেই মিলে-মিশে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করবে এবং প্রত্যেকে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম প্রতিপালন করবে। জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনাকে নষ্ট করে মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব-বিবাদ সৃষ্টি করতে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সুবিধাবাদী দল। তারা ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে সকল ধর্মের মানুষের সাথে খেলা করে। তারা পাকিস্তানীদের পেতাত্মা। তাদের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।’

পার্সটুডে

Advertisements