মার্কিন সেনারা সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরের কাছে ছয় বা সাত শিশুসহ একই আফগান পরিবারের যে দশ সদস্যকে হত্যা করেছে তা জেনেশুনেই করেছে! মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন এই খবর ফাঁস করেছে।
বেসামরিক ওই আফগান পরিবারের গাড়ির ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন সেনারা জানতে পেরেছিল যে ওই গাড়িতে শিশুরা রয়েছে এবং আরোহীরা সবাই বেসামরিক আফগান।
ড্রোন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ২০ দিন পর অবশেষ মার্কিন সরকার স্বীকার করেছে যে তারা কথিত আইএস বা দায়েশের খোরাসান শাখার সদস্য মনে করে ভুলবশত ছয় বা সাত শিশুসহ এক বেসামরিক আফগান পরিবারের দশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সন্ত্রাসী সেন্টকমের প্রধান এই অপরাধযজ্ঞের কথা স্বীকার করার পর কেবল এক সাদামাটা দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমেই ঘটনার ব্যাপারে তাদের দায়দায়িত্ব শেষ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে বিচার বা পদত্যাগের কথা তারা ভাবছে না! এ ধরনের ঘটনার যে পুনরাবৃত্তি করা হবে না সে প্রতিশ্রুতিও তারা দেয়নি!
কাবুল বিমানবন্দরে এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর মার্কিন সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের উপকণ্ঠে ওই হামলা চালিয়ে দাবি করেছিল যে ওই হামলার পরিকল্পনাকারী দায়েশের সেনাদের তারা হত্যা করেছে!
মার্কিন সেনারা সন্ত্রাসী হত্যার নামে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বহু দেশে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা ১৯৮৭ সনে জেনেশুনেই ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস করলে ৬৬ শিশুসহ ২৯০ জন বেসামরিক আরোহী প্রাণ হারায়।
আফগান এই পরিবারের দশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচার করার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারবর্গ। তারা সামনাসামনি ক্ষমা প্রার্থনা করার ও ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদেরও কেউ কেউ এই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেছেন। নৃশংস হত্যাযজ্ঞের এই ঘটনায় জড়িতদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করার দাবিও উঠেছে