গাজীপুর কাপাসিয়ায় শশুড়বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয় কাজল চন্দ্র বর্মণের (২৮) নামে এক যুবক। নিখোঁজের তিন দিন পর শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শশুর বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জোনা মধ্যে পাড়া কবিরাজ বাড়ি জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে শহিদ মাস্টারের আনারস বাগান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত বর্মণ ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার পুনারশাল এলাকার শুনিল চন্দ্র বর্মণের পুত্র। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খাঁন।
জানা যায়, কাজল চন্দ্র বর্মণ কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র বর্মণের মেয়ের জামাই। তার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার শ্বশুড়বাড়িতে নিজের চিকিৎসা করার জন্য এবং স্ত্রীকে দেখার জন্য গত একসপ্তাহ আগে আসেন। স্থানীয়দের ধারণা কোন এক সময় তাকে হত্যা করে রাতের আঁধারে মানবহীন এলাকার আনারস বাগানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শশুরবাড়ি থেকে আত্মহত্যা করার জায়গাটি দুই কিলোমিটার দূরত্ব। তাই অনেকেই আত্মহত্যার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন।
কাপাসিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খাঁন জানান, নিহতের বাড়ি ভালুকা উপজেলায়। তার মাথায় সমস্যা ছিলো। সে একসপ্তাহ আগে চিকিৎসা করাতে কাপাসিয়া তার শ্বশুর বাড়ি সাফাইশ্রীতে আসেন। বুধবার দিন বিকালে দাঁড়ি কাটার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় বড়জোনা শহিদ মাস্টারের আনারস বাগান থেকে কাজল চন্দ্র বর্মণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।