করোনার কালে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান যে লেখক চলে গেলেন তিনি দেবেশ রায়। ২০২০ সালের ১৫ মে করোনায় মৃত্যুবরণ করা বাংলা সাহিত্যের এই মহান লেখক ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বাংলা উপন্যাস তার হাত ধরে এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। তিস্তা পারের বৃত্তান্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৯০ তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। তার অনেক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মফস্বলি বৃত্তান্ত, লগন গান্ধার, শিল্পায়নের প্রতিবেদন, দাঙ্গার প্রতিবেদন, খরার প্রতিবেদন, যযাতি, তিস্তাপুরাণ, মার-বেতালের পুরান, যুদ্ধের ভেতরে যুদ্ধ, সহমরণ, বরিশালের যোগেন মণ্ডল উল্লেখযোগ্য।
নানা বিষয় নিয়ে তিনি চিন্তা উদ্রেককারী অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধের বই, রবীন্দ্রনাথ ও তার আদি গদ্য, সময় সমকাল, উপন্যাস নিয়ে, উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে, উপন্যাসের সংকট, শিল্পের প্রত্যহে ইত্যাদি। রাজনৈতিক প্রবন্ধের জন্য আমরা দেবেশ রায়কে স্মরণ করতে পারি।
বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিষয়ক এমন বই বাংলাতে আর হবে কি না বলা মুশকিল, ‘ব্যক্তিগত ও গোপন সব ফ্যাসিবাদ নিয়ে একটি বই’- এটা বইটার নাম। এখানে ভাষা, শিল্প, নটক ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে এ সবের সম্পর্ক নিয়ে তিনি যে আলাপ তোলেন তা বাংলাভাষাতে এর আগে দেখা যায়নি। দেবেশ রায় চিন্তার ভেতরই রাজনৈতিকতা লালন করতেন। সেই রাজনীতির সঙ্গে আমাদের মত-দ্বিমত থাকতেই পারে।
কিন্তু তার দেখার ধরন মাঝে মাঝে আমাদের বিস্মিতও করতে পারে। যেমন ‘অল্প কিছু আলো’ বইতে তিনি- আধুনকিতা, আমাদের আধুনিকতা, অন্য আধুনিকতা নামের একটি প্রবন্ধে বলছেন, ‘এখন ফ্যাসিস্ট হওয়ার জন্য ফ্যাসিজমের দরকার হয় না- গণতান্ত্রিক কাঠামোই সে স্বভাব আয়ত্ব করে নিয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত কবি-অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্মারক বক্তৃতা ২০১৫ প্রদান করেন দেবেশ রায়। ‘উপন্যাসের সংকট’ শিরোনামে সিনেট হলরুমে তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়- উনার অনুষ্ঠানের পরে একটি সাক্ষাৎকারের সময় দেবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানের পর ঢাকার সাহিত্যিক ও তৎসংশ্লিষ্টরা উনাকে এত ব্যস্ত রাখেন যে উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তার পরও তিনি কথা বলতে ইচ্ছুক ছিলেন। আয়োজকদের পরামর্শে অবেশেষে ঠিক করা হয় সন্ধ্যায় উনার রেস্ট হাউসে তিনি সময় দেবেন।
প্রথমে ২০-৩০ মিনিটের একটি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারের কথা থাকলেও প্রথম প্রশ্ন শুনেই উনি সাক্ষাৎকার দিতে গররাজি হয়ে আড্ডার প্রস্তাব দিলেন। বললেন, তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎকার না আড্ডা দিতেই ভালো লাগছে।
সাক্ষাৎকার নেয়ার ইচ্ছার কথা ভুলে স্বাভাবিক আড্ডার দিকে মনযোগী হতে হয়েছিল। রেকর্ডার যদিও চালুই ছিল। আলাপ চলল প্রায় আড়াই ঘণ্টা। নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন। সেই আড্ডার পর যে আন্তরিকতা তৈরি হল তা আমৃত্যু অটুট ছিল। আমরা আনন্দপূর্ণ তর্ক করেছিলাম। এখন তা হয়তো স্মৃতিতে থাকবে। এ বিপুল আলাপের মধ্য থেকে ব্যক্তিগত আলাপের বাইরে প্রাসঙ্গিক ও সবার জন্য দরকারি অংশগুলো নিয়েই এ অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি পত্রস্থ হল।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন– রেজাউল করিম রনি
রেজাউল করিম রনি : আপনার কাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কলোনিয়াল লক্ষণ আবিষ্কার করা এবং এন্টি কলোনিয়াল প্রক্রিয়ার হদিস করা। আর এটা করতে গিয়ে উপনিবেশের পরিমণ্ডলের ভেতরে যে ধরনের সাহিত্য তৈরি হয়েছে আপনি তার সমালোচনা করেন। বঙ্কিম নিয়ে আপনার ক্রিটিক এত দিনে সবাই মনে হয় কম বেশি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হল এর একটা থিওরিটিক্যাল সমস্যা আছে।
দেবেশ রায় : কী সমস্যা আছে বলে মনে করছেন? আপনার ক্রিটিকটা শুনি আগে।
রনি : কলোনির প্রভাব এবং লস অইডেনটিটি নিয়ে দুনিয়ার অনেক বড় বড় চিন্তক কাজ করেছেন। আমরা যদি মনে করি কলোনিয়ালিজমের ফলে ‘অরিজিনাল’ বলে যা ছিল তেমন একটা কিছু আমরা হারিয়েছি তাহলে আমরা আগাম ধরে নিচ্ছি যে, আমাদের ‘সংস্কৃতি’তে ‘অরিজিনাল’ বলে কিছু একটা আছে। খ্যাতিমান তাত্ত্বিক স্লাভোক জিজেক একটা লেখায় ভারতের কলোনিয়াল অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘কোন জেনুইন রিলায়েবল ট্রেডিশন নাই’। ফলে কলোনিয়াল কন্ডিশনের মাধ্যমে আমরা যখন ‘লস’ আইডেনটিটি খোঁজ করি তখন আসলে ‘লস’ ডাইমেনশন তৈরি হয়। উদাহরণ দিতে গিয়ে জিজেক বলছেন, এমন অনেক কিছু আছে যা কলোনিয়াল রুলাররা আসার আগে ভারত আবিষ্কার করেনি। কলোনিয়াল প্রয়োজনে বরং অনেক লস বা গায়েব হয়ে যাওয়া জিনিস তারা আবিষ্কার করেছে। প্রাক-কলোনিয়াল বা প্রিকলোনিয়াল সময়ে ট্রেডিশন আবিষ্কারের প্রচেষ্টার মধ্যে একটা প্যারাডক্স বা বিভ্রম আছে। ভারতের উদাহরণ দিয়ে এটা তো বলা যায়।
দেবেশ রায় : তা হয়তো বলা যায়। তার পর আপনি শেষ করেন। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছি।
রনি : অন্যদিকে উমবের্তো একো উনার বিখ্যাত লেখা, ‘উর-ফ্যাসিজম’ নামক প্রবন্ধে বলেন, ট্রেডিশন যাকে বাংলায় ঐতিহ্য বলা হয়, এটা ফ্যাসিজমের চেয়ে পুরনো। এবং প্রতিটি ফ্যাসিজমই এই ঐতিহ্য রক্ষার আবেগী দাবিটিই আসলে সামনে আনে। মূলত এটা ফ্যাসিবাদের এটা বড় হাতিয়ারে পরিণত হয়। ইকো যেমন বলেন,
‘The first characteristic of Fascism is the cult of tradition. Traditionalism is older than Fascism.’
এ ঐতিহ্যের দোহাই দিয়েই স্বাধীন হওয়ার পর ভারত তার হিন্দুত্ববাদী গণতান্ত্রির রুটের দিকে যাত্রা শুরু করে একটা ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী জায়গায় পৌঁছে গেছে এখন। ফলে দেখা যাচ্ছে, এই প্রি কলোনিয়াল অবস্থায় ফেরার লড়াইটা একটি গণতান্ত্রিক-টোটালেটেরিয়ান বা সর্বময়বাদী আচরণের কালে এসে ফ্যাসিবাদি রূপে হাজির হচ্ছে। কারণ এখনকার গ্লোবাল বিশ্বব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক মডেলে একটা ডমেস্টিক ফ্যাসিবাদি শাসনের কালে যে কোনো আদি সংস্কৃতির গৌরব কর্তৃত্ব কায়েমের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। ফলে প্রি কলোনিয়াল প্রাইড বা গর্ব কিন্তু জাস্টিফাইড হচ্ছে না। আপনি এই যে এন্টি কলোনিয়াল জায়গা ধরে কাজ করেন এটা কি কোনো নতুন পাটাতন বা প্যারাডাইমের দিকে নিয়ে যেতে পারবে?
দেবেশ রায় : (অনেকক্ষণ চুপ করে থাকেন) এমন প্রশ্ন কেউ কখনও আমাকে করেনি ৬০ বছরের লেখালেখির জীবন আমার। আপনি থিওডোর এডর্ন ও জিজেক ভালোই পড়েছেন বুঝতে পারছি। ঢাকার মানুষ এত ক্রিটিক্যালি চিন্তা করে এটা আগে বুঝতে পারিনি।
আপনি জিজেকের লেখা এতটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন? বাহ, এটা এখানের লোকে পড়ে বলে তো জানতান না। জিজেকের কী কী বই আছে আপনার কাছে? আমার কাছে কয়েকটা আছে। আপনার আর কী কী প্রশ্ন আছে আমার কাছে?
রনি : ঢাকার লোকদের এ অবস্থা আমিও জানতাম না। জিজেক একজন পপুলার এবং ফ্যাশনেবল থিংকার। এটা না পড়ার কী আছে। সিলেকটিভ রাইটিং অব জিজেক- ভারসো বুকসের পুরো সংকলনটাই আছে। এ ছাড়া বিশেষ করে তার প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বিদেশ থেকে আনিয়েছি আরও কয়েক বছর আগেই।
আমার বিশেষ কোনো প্রশ্ন নেই। কথা বলতে বলতে প্রশ্ন আসবে। আমি আসলে চাচ্ছিলাম আপনি একটু উসকে দিন। তারপর না হয় আমিও একটু উসকে দেব। এখানে একটা চিন্তাশীল যোগাযোগ তৈরি হোক এটাই চাইছি। হেসে হেসে বললাম, আসেন আমরা কিছুক্ষণের জন্য হাইডেগারিয়ান হয়ে যাই।
দেবেশ রায় : এমন প্রশ্ন এর আগে আমাকে করা হয়নি। দারুণ প্রশ্ন করেছ। (হা হা হা করে হেসে উঠলেন।)
আপনি কী করেন এখন? আগে কী করতেন, কোথায় পড়েছেন?
রনি : আগে গ্রামে গরু চরিয়েছি। অনিয়মিত পড়েছি। একাডেমিতে তেমন ভালো ফল করি নাই স্বভাব দোষে। আগে মাছ চাষ করতাম। এখন সাংবাদিকতা করে শহরে টিকে আছি। আর মাঝে মাঝে লিখি। বেশি কবিতাই লিখি। প্রবন্ধও লিখি। সেখান থেকেই আপনার গদ্যের প্রতি আগ্রহ। আপনার চিন্তা করার ধরনটা অনেক দিন ধরে পাঠ করছি।
দেবেশ রায় : আচ্ছা। এই আলাপ কি কাগজে ছাপা হবে? আমরা যেসব বিষয় নিয়ে কথা বলছি তা তো দৈনিক কাগজের বিষয় নয়। আপনি কি আমার বক্তৃতা শুনেছেন পুরোটা?
রনি : জি শুনেছি।
দেবেশ রায় : শুনে আপনার কী মনে হল?
রনি : আপনি একটা ইন্টারভেনশনাল বক্তৃতা দিতে চেয়েছেন। উপন্যাসে চিন্তার একটা জরুরি দিক নতুন করে আলো ফেলেছেন। আপনি সমস্যার একটা দার্শনিক মাত্র দিয়েছেন। উপন্যাসের সংকট যতটা চলছে তার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু যারা ওখানে ছিল সবাই এর গুরুত্ব বা বেশিরভাগই এর গুরুত্ব মনে হয় বুঝতে পারেনি। বা আপনার পয়েন্টগুলো এখনও পরিষ্কার হয়নি।
দেবেশ রায় : আমারও একই রকম মনে হচ্ছে। আলোচনাটা শেষ করে মনে হল এটা ঠিক পরিষ্কার হল না। কোনো প্রশ্নই তো এলো না। কেউ অলাপ তুলল না।
রনি : আপনি তখন বলছিলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যগত প্রশ্নের ওপরও- এ আধিপত্যবাদী চিন্তার জবরদখল থেকে যায়, এ নিয়ে প্রতিবাদ বড় একটা হয় না।’ কী অর্থে কথাটা তুলেছেন?
দেবেশ রায় : কথাটা এখনও শ্রেণি অর্থেই বুঝতে পারেন। একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের কাহিনীই উপন্যাস। সেই বিকাশোন্মুখ ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষা নানা কিছুতে ছড়িয়ে থাকতে পারে। দেখুন, মার্কসবাদী চিন্তকরা যেভাবে উপন্যাসকে একটা বুর্জোয়া মাধ্যম আকারে দেখেছেন আমি তা মানি না। এর সঙ্গে আমার ভাবনার বিরোধ আছে। এটাই আমি পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি।
রনি : তাহলে তো বলা যায় উপন্যাসের সংকট বলে আপনি যা দেখাতে চাইছেন তা আসলে আধুনিকতার সংকট?
দেবেশ রায় : আধুনিকতার মধ্যে যে উপন্যাস তৈরি হয় তা তো আর একমাত্র উপন্যাস নয়। হ্যাঁ আমি যে কথাটা বলতে চাইছি তা হল, প্রত্যেকটি উপন্যাসই উপন্যাসের নতুন সংজ্ঞা হাজির করতে পারে। এর পরিধিকে আধুনিক বা বুর্জোয়া পরিসর দিয়ে বেঁধে ফেলার কোনো মানে হয় না। উপন্যাসের সংকট আলোচনা করতে গিয়ে তাই আমি আধুনিকতার বাইরেও অনেক উপন্যাসের উদাহরণ দিয়েছি। এই জন্যই লম্বা লিস্ট দিতে হয়েছে। আমাদের আসলে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। ইউরোপের স্বীকৃত কাঠামোই উপন্যাসের বিচারে শেষ কথা হতে পারে না। এজন্য উপনিবেশের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে হবে।
রনি : আপনি বঙ্কিম ও প্যারীচাঁদকে যেভাবে বাংলা উপন্যাসের ন্যারেশনে দুটো উল্টো যাত্রাবিন্দু হিসেবে দেখেছেন তাতে নতুন করে ভাবনার অবকাশ তৈরি হয়েছে। এবং বঙ্কিমকে আপনি কলোনিয়াল বাংলা লেখক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু আপনি এমন অনেক লেখকের লেখা নিয়ে উচ্ছ্বসিত কমেন্ট করেছেন, যারা এই বঙ্কিমী ট্রেডিশনেরই লেখক। ঢাকাতে আপনি যাদের প্রশংসা করেন তারা কিন্তু আপনার চিন্তার বিরোধী প্রকল্পের লেখক। এটা কিন্তু অনেকের জন্য একটা খটকা। আপনি কেন এমনটা করেন?
দেবেশ রায় :(মুচকি হাসলেন) তোমার এ সমালোচনার যথেষ্ট কারণ আছে এবং এটা আংশিক সত্য। কিন্তু বঙ্কিম নিয়ে আমার লেটেস্ট চিন্তারও একটা পরিবর্তন হয়েছে। উপন্যাসের মূল কাঠামোতে উপনিবেশী চিহ্ন থাকলেও তার বাইরের যে কাঠামো অর্থাৎ যেসব উপাদান ব্যবহার করে উপন্যাস লেখা হয় তা নন-উপনিবেশী। আমি যাদের নিয়ে কমেন্ট করি তাদের লেখাতেও যে এ উপাদান আছে এটা তারাও জানে না। যেহেতু আমি প্যারাডাইমটা বুঝতে পারি তাই আমি এটা ধরতে পারি। অনেক সময় আমার বন্ধুরা বলে আমি বাংলাদেশের লেখকদের নিয়ে বাড়িয়ে বলি। আসলে বাড়িয়ে বলি না। তাদের সব লেখা নিয়ে তো বলি না। যেগুলোয় সেই উপাদান পাই তা নিয়েই বলি।
রনি : কবিতার সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা কেমন?
দেবেশ রায় : কবিতা হল কুইক রিডিং মেটার। দ্রুত পড়ে ফেলা যায়। শুধু কবিতার সঙ্গে কেন সাহিত্যের প্রত্যেক ফর্মের একটা নিজস্ব পদ্ধতি আছে তার প্রতিটির সঙ্গেই আমার সম্পর্ক আছে। গানের সঙ্গেও আছে। তবে আমি সেগুলোর চর্চাকারী না। সাহিত্যের অন্য ফর্মের পদ্ধতিটা কিন্তু কথা সাহিত্যেও কাজে লাগাই। তাই আমি সব শিল্প মাধ্যমের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখি। অন্য শিল্প মাধ্যমের টেকনিকটা গল্প উপন্যাসে কাজে লাগাই। চর্চা করি মূলত গল্প-উপন্যাস।
রনি : আজ তা হলে উঠি আবার কথা হবে। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
দেবেশ রায় : আলাপ হবে। কলকাতা এলে আসবে। ঠিকানা ও নাম্বার তো দিলাম। ভালো থেকো।