উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার ( ২৬ মে) নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের চলমান পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির দ্বিতীয় দিনের সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বহুমাত্রিক ঝুঁকি মোকাবিলা ও উন্নয়নের টেকসই লক্ষ্য অর্জনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা ছিলেন তিনি। সভার বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের অবহিত করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূর এলাহি মিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। কভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারতকে অতিক্রম করেছে। ২০২০ সালে এ দেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে। লকডাউনের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত অনলাইন সরকার ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও অনলাইন কর্মপরিবেশে নিজেদের পরিবর্তিত করতে পেরেছে। দেশে মোবাইল ফোনভিত্তিক কভিড শনাক্তকরণ পদ্ধতি এবং সরাসরি কভিড তথ্যসহায়তা চালু করার ফলে সবচেয়ে কম সংক্রমণ হারের দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অবস্থান করছে।
এক যুগ আগের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সে সময় বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ। আজ ১২ বছর পর দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ১১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ সুলভে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এই সাফল্যের পেছনে সরকারের ব্যাপক অর্থায়নের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ ভূমিকা রেখেছে।
তরুণ এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণে বিগত কয়েক বছরে ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক কেবল সারাদেশে স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ এলাকা ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে; আমরা ফাইভজি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জয় বলেন, বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব উপায়ে এবং স্বল্প খরচে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী জ্ঞান ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতি ও সেবা সৃষ্টি করতে পেরেছে। পৃথিবীর কোনো দেশ দ্রুত ডিজিটাল পদ্ধতিতে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে বাংলাদেশ সেবা ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।