গাজীপুর শ্রীপুরে কলেজ পড়ুয়া বোনকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় ভাই মো. রুবেল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা এবং তাদের একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। ইভটিজিংয়ের শিকার তরুণী আব্দুল আওয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২০ মে ) দুপুরের দিকে উপজেলার জৈনা বাজার আব্দুল আউয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে ইভটিজিংয়ের শিকার কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের আফির উদ্দিনের ছেলে মো. ইসরাফিল (২৩), একই গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে সাকিব (২২), কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের মো.আওয়াল মিয়ার ছেলে মো. আকাশ (২২), পাশ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের মো. রহিম উদ্দিনের ছেলে মো. রুহুল আমিন (২২), কলেজ পাড়ার মো. মজিবরের ছেলে মো. সিয়াম (১৮), মো. জহিরুল ইসলাম (২২), মো. আরাফাত (১৯), মো. ফারুক (২০), মো. আমান (১৯), মো. হৃদয় (২০), ও অনিন্দ্য (১৯)।
কলেজ শিক্ষার্থীর বড় ভাই মো. রুবেল মিয়া জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার কিছু বখাটে যুবক আমার কলেজ পড়ুয়া বোনকে উত্যক্ত করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে জৈনা বাজার আব্দুল আউয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাঠে আমার মোটরসাইকেলে থাকা আমার বোনকে টানাহেঁচড়া করতে থাকে বখাটেরা। এতে বাধা দেয়ায় আমাকেও ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে আব্দুল আওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে এধরণের বখাটেদের শিক্ষার্থীরা কলেজে আসতে ভয় পায়।
তেলিহাটি ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। কলেজ শিক্ষার্থী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি।
এবিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন পুলিশ অফিসার কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।