চার বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ড্যারেন স্যামি। সবাই যখন ধরেই নিয়েছেন অবসরে চলে গিয়েছেন, তখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা জানিয়েছেন স্যামি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ড্যারেন স্যামিকে শেষ খেলতে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালে। ভারতে অনুষ্ঠিত টি –টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের আগেই বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। এর পর ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্যারিবীয় দলে আর কখনোই ডাক পড়েনি তাঁর।
জাতীয় দল থেকে প্রকাশ্যে অবসরের ঘোষণা না দিলেও স্যামির গায়ে ট্যাগ প্রায় বসেই গিয়েছিলপ্রাক্তন খেলোয়াড়ের। একে তো তাঁকে দলে ফেরাতে চায় না বোর্ড, ওদিকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও কদর কমতে শুরু করেছে তাঁর। ৩৬ বছর বয়সে খেলার মধ্যে না থাকা স্যামির উইন্ডিজ ক্যারিয়ার নিয়ে সন্দেহ দূর করে দিয়েছিল এ বছরের আরেক ঘটনা। পিএসএলে খেলতে গিয়ে পাকিস্তানের চোখের মনি বনে গিয়েছেন। আর চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পেয়েও গেছেন।
তবে অন্যরা যাই ভেবে থাকুক না কেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে এখনো খেলার স্বপ্ন দেখেন ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার । আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দরজাটা এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি বলেও মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই অধিনায়ক।
অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ। নিজের সেরা সময়ে ব্যাটে–বলে ছিলেন দলটির প্রাণভোমরা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন সেন্ট লুসিয়ার হয়ে। সেখানে ভালো খেলে নির্বাচকদের নজরে আসার লক্ষ্য তাঁর, ‘আমি অবসর নিইনি। আমি সেই দরজাটাও বন্ধ করিনি। সেন্ট লুসিয়ার হয়ে আমার যে দায়িত্ব, আমি যদি সেটা পালন করতে পারি এবং দলকে প্লেঅফে নিয়ে যেতে পারি। তাহলে নির্বাচকেরা অবশ্যই আমার দিকে নজর রাখবেন।’
চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হবে সিপিএল। টুর্নামেন্টে নিজের সেরাটা দেওয়ায় তাঁর লক্ষ্য, ‘এই বছরের টুর্নামেন্টে নিজের ও দলের জন্য আরও ভালো কিছু করতে চাই। আমার পুরো মনোযোগ সেদিকে আছে।’
কিন্তু হঠাৎ কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছা? করোনার সময়ে আত্ম উপলব্ধি থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সামি, ‘আমি গত কয়েক মাসে আত্ম অনুসন্ধান করেছি এবং কিছু খুঁজেও পেয়েছি। লকডাউনের কয়েক মাসে কেউ যদি আত্মউপলব্ধি না করে থাকেন, তাহলে সে নিজের প্রতি সুবিচার করেননি।’