দেশে করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করায় সরকার ১৪ এপ্রিল ২০২১ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন। যার আওতামুক্ত শুধু জরুরী সেবা, কাঁচামাল, ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স ইত্যাদি।
যদিও সকল ধরনের কল-কারখানা, সরকারী ও বেসরকারী অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধ থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নেন সরকার। কিন্তু সরকারকে তোয়াক্কা না করে দেশের একমাত্র বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজিএমইএ। অসহায়, গরীব ও নিম্ম শ্রেনীর কর্মচারীদের দিকে না তাকিয়ে বিজিএমইএ এই সিদ্ধান্ত নেয়। বিজিএমইএ এর এই সিদ্ধান্তের কারনে দেশের করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতির দিকে ধাবিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন শ্রেনীর পেশাজীবিগন। সরকার যেখানে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন, বিজিএমইএ সেখানে কিভাবে গার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানান তারা। বিজিএমএ এর পক্ষথেকে জানানো হয়, যদি শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকে তাহলে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার মতো ক্ষতির সম্ভাবনা আছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিএমইএ এর এই হটকারি সিদ্ধান্তের অসন্তোষ জানান খেটে খাওয়া মানুষ।
যাহারা খেটে খাওয়া মানুষ, নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের কথা চিন্তা না করে সরকার বিজিএমইএ এর কথা চিন্তা করেছেন। যেসকল লোক দৈনিক আয় রোজগারে ব্যাস্ত থাকেন তাদের মধ্যে, গাড়ী চালক, রিক্সা চালক, সাধারণ মুদির দোকান, চায়ের দোকান, রাজমিস্ত্রী অন্যতম। এইসকল সাধারণ খেটে খাওয়া লোকগুলো যদি একদিন রোজগারের জন্য ঘড় থেকে না বের হয়, তাহলে তাদের সংসারে চুলোয় আগুন জ্বলে না। তাই খেটে খাওয়া মানুষের দিকে লক্ষ রেখে সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন, তাহা হবে বাস্তবমূখী সিদ্ধান্ত।
বিজিএমএ এর এই সিদ্ধান্তে করোনার মহামারীর দিকে দাবিত করিতেছেন গরীব, অসহায় ও খেটে খাওয়া শ্রমিকদেরকে। খেটে খাওয়া শ্রমিকগন কান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন, মৃত্যুর ভয় কি শুধু ধনী ব্যাক্তিদের? আমরা শ্রমিক বিধায় আমাদের মৃত্যুর কোন মূল্য নাই? দেশের সবকিছু যখন বন্ধ, সেখানে গার্মেন্টস কেন খোলা রেখেছে বিজিএমইএ? আমরা কি এদেশের জনগন না? এ সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারের নিকট জানাতে ও জানতে চাই।
ইয়ামিন হোসেন পাটোয়ারী