৩ মাসে ওজন কমানোর বৈজ্ঞানিক উপায়
Advertisements

ওজন কমানো নিয়ে মানুষ প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়। এর মূলে সংবাদমাধ্যম থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টোটকা পরামর্শ কাজ করে। বাড়তি ওজনে মানুষ হাঁটু ও কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হয়। স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্ন হয়। কিন্তু চাইলেই ওজন কমানো সম্ভব হয় না। সহজে ওজন কমানোর বৈজ্ঞানিক পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. আহাদ হোসেন, যা তুলে ধরা হলো—

ওজন কমাতে যা দরকার

১. বাড়তি ওজনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য নিজের প্রয়োজনে ওজন কমাতে হবে। তবে এজন্য অনেকে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। ফলে কিছুদিনের মধ্যে দুর্বল কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়লে এ প্রক্রিয়ায় ভাটা পড়ে। তবে মনস্থির করার পর ওজন কমাতে প্রথমেই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট বেশি থাকে। তবে এ তিনটি উপাদান থাকা খাবার পরিমিত খাওয়া সম্ভব হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কার্বোহাইড্রেটের প্রধান উৎস ভাত। তাই বলে একেবারে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে, কর্মক্ষতা হারাবে। অনেকে ভাতের বদলে রুটি খান, এতেও কার্বোহাইড্রেটের কমতি নেই।

২.প্রথম সপ্তাহে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাত্রা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত যে পরিমাণ ভাত বা রুটি খাওয়া হয়, তা অর্ধেকে আনতে হবে।

৩.দ্বিতীয় সপ্তাহে আগে তিনবার ভাত বা রুটি খেলে, তা দুবারে নামিয়ে আনতে হবে।

৪.তৃতীয় সপ্তাহে এসে একবেলা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার ছেড়ে দিতে হবে। মনে রাখা জরুরি, আমাদের প্রয়োজনীয় আলুতেও বাড়তি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে। ফলে তরকারি কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একেবারে বাদ দেওয়া গোল ভালো হবে।

৫.দিনে কমপক্ষে একবার কার্বোহাইড্রেট নিতে হবে। সেটা সকালে নিলে সবচেয়ে ভালো। কারণ আমাদের শরীর যেভাবে নিয়ন্ত্রণ হয় তাতে কার্বহাইড্রেডের পরিমাণ শূন্যের ঘরে নিয়ে আসেলে স্ট্রেস ঠিক থাকে না। যার কারণে হরমনের ভারসাম্য হারালে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়।

এ সময় মনে হতে পারে অর্ধেক পরিমাণ খাবার তাও আবার দিনে একবার খেয়ে কীভাবে চলা যায়? কিন্তু বিজ্ঞান বলছে চলা সম্ভব। এজন্য আলাদা কিছু খাবার খেতে হবে। সেগুলো হচ্ছে— দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট ছাড়া খাবার মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, ফলমূল খেয়ে পেট ভরাতে হবে।

রাতের বেলা সবজি, মাছ, মাংস, সালাদ বা ফলমুল খাওয়া যেতে পারে। এর বাইরে খিদে পেলে কম পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে এমন চিনি ছাড়া চা বা বিস্কুট জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। নিয়ম মেনে চললে দুই থেকে তিন মাসে ওজন কমিয়ে আনা সম্ভব।

সূত্রঃ doctortv

Advertisements