তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি রফিক চকপাড়া মড়ল মার্কেটে বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমামকে জুতাপেটা করেছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
গত শুক্রবার ]১৫ জানুয়ারি ২০২১] রাত সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই সময় বায়তুল-নুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি আব্দুল মজিদ তাঁর রুমেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের বাড়িতে গরু জবাই করার জন্য ইমামকে ডাকায় তিনি ঘুমে থাকায় কোনও সাড়া দিতে পারেননি। ওই সময় পাশের রুমে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করেন। পরে বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে ইমামকে জুতাপেটা করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম।
সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়েম বিএ শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা থেকে সোমবার সুষ্ঠু সমাধানের কথা থাকলেও রফিকুল ইসলাম পলাতক থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরে বিচার না পেয়ে মুসুল্লীরা আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে দোষী ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মুসুল্লিরা।
এসময় বক্তব্য রাখেন জৈনা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ, মাওনা মৃধা বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ফাইজুদ্দিন, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা আলী মসজিদের সভাপতি মোঃ আবু সায়েম, বাইতুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি আবু সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন প্রমুখ।
ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু সায়েম ভাওয়াল বার্তাকে জানিয়েছেন, রফিক তার চতুর্থ স্ত্রী’র ভাড়া রুমে ছিল ওই রাতে। পরে গরু জবাইয়ের জন্য অন্যান্যরা ডাকতে আসলে সে অযথা ইমামের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে জুতাপেটা করে। তবুও গরু জবাই করে দিয়ে আসেন ইমাম। এই ইমাম অন্যান্য হুজুরদের থেকে অনেক ভালো। প্রতিরাতেই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন তিনি। তার কোনও খারাপ আচরণ পাইনি কোনওদিন। এভাবে হুজুরকে লাঞ্চিত করায় তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি। মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমাকে বলেছে, আজ সন্ধ্যায় দুই পক্ষকে নিয়ে বসবে।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা সোমবার রাত সাড়ে আটটায় জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে দুই পক্ষই শ্রীপুর থানায় রয়েছে।
প্রতিনিধি/ মো. মোজাহিদ