গাজীপুর সদর উপজেলার পাইনশাইল ও ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১১ ইটভাটা ভেঙে দিয়ে ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার [৩১ ডিসেম্বর ২০২০] পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সালাম জানান, পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযানকালে পাইনশাইল এলাকার আব্দুল আজিজের মেসার্স কাঁচা রস ব্রিক্স (কে আর বি), জহিরুল হক পলাশের মেসার্স স্টার ব্রিক্স, শরিফুল আলমের ডগরী ব্রিক্স (এম এ কে-২), আব্দুর রহমান সরকারের মেসার্স আদিব ব্রিক্স (এ আর সি), বশির আহমেদের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ব্রিক্স (বিএনবি), সোহান আহমেদ রিপনের মেসার্স হাজী ব্রিক্স (এম এইচ বি), নাসিম সিকদারের মেসার্স সোহাগ-বাপ্পি ব্রিক্স (এস বি সি) ও রফিকুল ইসলামের এন আর ব্রিক্স (এন আর বি) এবং ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার আমিন উদ্দিনের সুইটি ব্রিক্স (এস আর বি), আয়নাল হকের আঁখি ব্রিক্স (এ আর বি) ও ফজলুল হক মুসল্লির ন্যাশনাল ব্রিক্সকে ছয় লাখ টাকা করে মোট ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মাধ্যমে পানি দিয়ে ওই ইটভাটাগুলোর আগুন নেভানো হয় এবং ভেঙে দেওয়া হয়। আদালত ইটভাটাগুলো বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছেন। এতে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত ধুয়া ও বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমণ করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় ওই ইটভাটাগুলোকে জরিমানা করা হয়।
এ সময় গাজীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার, সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন ও মমিন ভূঁইয়াসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে গাজীপুর র্যাব-১, আনসার ব্যাটেলিয়ন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করে।