করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি বলেছে, ছাত্র-ছাত্রীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে। কমিটি ১৮ বছরের ওপরের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছে। কিন্তু এতদিন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ফ্রন্টলাইনের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রোববার (২২, নভেম্বর) রাতে কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে জাতীয় পরামর্শক কমিটির ২২তম সভায় এ বিষয়ে মতামত জানিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনিকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছে। এ জন্য সরকার অর্থও বরাদ্দ করেছে।
দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ফ্রন্টলাইনের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে ফোকাস করছে সরকার।
১৮ বছরের বেশি বয়স্ক শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার পক্ষে মত দিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটি উল্লেখ করে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাকসিন বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে কমিটি।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কয়েক ধাপে বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। গত ২৩ নভেম্বর পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানায় সরকার। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। স্কুলপর্যায়েও অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগী করার চেষ্টা চলছে।