এশিয়াটিক গ্রুপ
Advertisements

বিজ্ঞাপনজগতে দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তারকারী এশিয়াটিক গ্রুপের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। এশিয়াটিক গ্রুপের আট পরিচালকসহ ১৭ ব্যক্তি ও তাদের মালিকানাধীন ১৭ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সব আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে সিআইসি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

ব্যাংক হিসাব জব্দের তালিকায় রয়েছেন—আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরের স্ত্রী সারা যাকের, ছেলে ইরেশ যাকের, মেয়ে শ্রেয়া সর্বজয়া, ইকরাম মাঈন চৌধুরী, মো. মোরশেদ আলম, মোহাম্মদ হাসান ফারুক ও মো. রেজাউল হাসান।

তবে এশিয়াটিক গ্রুপ দাবি করেছে, গত বছরের আগস্টে আসাদুজ্জামান নূর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে পদত্যাগের নির্দিষ্ট সময় বা প্রমাণ তারা প্রকাশ করেনি।

জব্দ হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে: এশিয়াটিক মিডিয়া লিমিটেড,এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন লিমিটেড ,এশিয়াটিক টকিং পয়েন্ট কমিউনিকেশনস,এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং,অপটিমাম সার্ভিস লিমিটেড,এশিয়াটিক ইভেন্টস মার্কেটিং,মিডিয়া কমিউনিকেশন্স ,ফোরথট পিআর লিমিটেড, এশিয়াটিক মাইন্ড শেয়ার,এশিয়াটিক টিএমএস,ব্ল্যাকবোর্ড স্ট্র্যাটেজিজ,আউট অব দ্য ব্লু-ডিজাইন স্টুডিও,ধ্বনি চিত্র লিমিটেড,স্টেনসিল বাংলাদেশ,রেডিও স্বাধীন প্রাইভেট লিমিটেড ও ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড।

সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, এক ব্যক্তি নিজ পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ এশিয়াটিকের বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগসহ লিখিত আবেদন জমা দেন। অভিযোগে কর ফাঁকি, সম্পদ গোপন, সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯-১৪ সালের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু কার্যক্রমে এবং ২০২০-২১ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করেছে। একইভাবে মুজিব শতবর্ষ, জয়বাংলা কনসার্ট ও মুজিব সিনেমা প্রচারের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করদাতারা তাদের প্রকৃত আয়ের তথ্য গোপন করে কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর করে রাজস্ব আদায় অনিশ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় আয়কর আইন ২০২৩-এর ২২৩(২) ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Advertisements