সাকিব গংসহ ৮ ব্যক্তিকে সাত কোটি ১৯ লাখ টাকা জরিমানা
Advertisements

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক শুভেচ্ছাদূত ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। কমিশনের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল কমিশনের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলমকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমানকেও সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে সাকিবের আর্থিক তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রও সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাই শেষে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক উপ-পরিচালক।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। পরে তার সঙ্গে দুদকের শুভেচ্ছাদূতের চুক্তিও বাতিল করা হয়।

Advertisements