
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা নারগিস ভূঁইয়া লিখিতভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কাপাসিয়া থানার সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মিত চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, অবৈধভাবে মাটি কাটা সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার গঠিত সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা মন্তব্য করেন, “নিজেকে ক্ষমতাধর নেতা প্রমাণের জন্য এবার ঈদে সে দুইবার ঈদের নামাজ পড়েছে—একবার গিয়াসপুর মাঠে, পরে দামুয়ারচালা ঈদগাহ মাঠে।”
নারগিস ভূঁইয়া তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, তিনি এবং তার পরিবার কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তবুও দীর্ঘদিন ধরে সাইফুল ইসলাম তার বন্ধু জাহিদ হোসেন ও সহযোগী শাহআলমসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে তাদের পরিবারের ওপর বারবার হামলা, লুটপাট এবং হুমকি দিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, একাধিকবার তার মা রহিমা বেগম, চাচা হানিফ ও আত্মীয় ফজলুল রহমানের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি তারা ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেছে, গালাগালি করেছে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছে—“বিএনপি এখন ক্ষমতায়, আমরা সব কিছু লুট করে নেব।”
নারগিস ভূঁইয়া জানান, একাধিকবার হামলার শিকার হলেও স্থানীয় প্রশাসন কিংবা দলীয় পর্যায়ে কেউ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সাইফুল ইসলাম, তার ভাই নাজমুল ইসলাম, বাবা জিল্লুর রহমান, চাচা মোবারক ও সহযোগী শাহআলম মিলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটিয়ে চলেছেন।
তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চাঁদাবাজ এই সাইফুল ও তার বাহিনীকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”
এ বিষয়ে বিএনপির কাপাসিয়া থানা ইউনিটের কোনো নেতার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।