
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। শনিবার (২ মার্চ) প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রোববার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণের প্রস্তাব এখনও গ্রহণ করেনি হামাস। তাই, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ বন্ধ থাকবে। হামাস তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইল জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের পাসওভার উৎসব উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে তারা। মার্কিন দূতের পক্ষ থেকে হামাসকে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে— প্রথম দিনেই হামাস তাদের কাছে থাকা বন্দিদের অর্ধেককে মুক্তি দেবে। অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি মিলবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর।
তবে হামাস এই প্রস্তাবে এখনো আনুষ্ঠানিক সাড়া দেয়নি। বরং, ইসরাইলের ত্রাণ প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি। হামাসের মতে, “গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যা যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ইসরাইল ও হামাস। হামাসের শর্ত অনুযায়ী, যদি দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তবে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।