করোনা নিয়েই হাসপাতাল ত্যাগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের
Advertisements

৭২ ঘণ্টা চিকিৎসা নিয়ে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টার থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে গেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনো ট্রাম্প বিপদমুক্ত নন। কিন্তু ট্রাম্প সে অনুযায়ী আচরণ করছেন না।

হাসপাতাল ছাড়ার কিছু আগে টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তিনি আসলেই ভালো বোধ করছেন। তিনি আমেরিকার লোকজনকে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানান। কোভিড-১৯ যেন জনজীবনকে প্রভাবিত না করতে পারে, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউজে ফিরেই ট্রাম্প মাস্ক খুলে ফেলেছেন। হোয়াইট হাউজের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেই তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। শুধু ট্রাম্প নন, তার ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ট্রাম্প অবিবেচকের মতো কাজ করে তার আশেপাশের লোকজনকে বিপদে ফেলছেন বলে অভিযোগ সমালোচকদের।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ গেছে ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের। ট্রাম্প শুরু করোনাতে গুরুত্ব দেননি। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সে অবস্থান বজায় রেখেছেন। তিনি মার্কিন জনগণকে বলেছেন, কভিডের ভয়ে ভীত হবেন না। এটি যেন আপনার জীবনে কোনো প্রভাব না ফেলে।

তবে তিনি এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক ডা. শন কনলি।
ট্রাম্পের বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মেডিকেল টিম জানায়, হাসপাতাল ছাড়লেও বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা তাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। তবে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প অংশ নিতে পারবেন কি না এ প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দেননি তারা।

হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক ডা. শন কনলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গে থাকা হোয়াইট হাউজের সকল সদস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ সে বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি।

ট্রাম্প এমন সময় হাসপাতাল ছাড়লেন যখন হোয়াইট হাউজের একের পর এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পরষ্পরবিরোধী বক্তব্যের জেরে ট্রাম্পের সঠিক শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ডেমোক্র্যাট নেতাদের অভিযোগ, করোনা নিয়ে রাজনীতি করে নির্বাচনে সহমর্মিতা আদায়ের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।

Advertisements