গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নাশকতামূলক তৎপরতার প্রতিবাদে আজ (বুধবার) কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস অংশগ্রহণ করবে না বলে সংগঠনটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বুধবারের দোহা বৈঠকে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, গত ২ জুলাই উত্থাপিত প্রস্তাবের প্রতি ইসরাইল আগ্রহ না দেখানো পর্যন্ত হামাস নতুন করে কোনো আলোচনার সূচনা মেনে নেবে না।
হামাসের এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আলোচনায় নতুন শর্ত আরোপ করেছেন যা এই আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার কাতারে যুদ্ধবিররতির আলোচনা আবার শুরু করার সময় নির্ধারণ করেছে তখন হামাস নেতা এ প্রতিক্রিয়া জানালেন।
এর আগে বুধবার লেবাননে নিযুক্ত হামাসের প্রতিনিধি আমহাদ আব্দেল হাদি আল-মায়াদিনকে বলেছিলেন, প্রতিরোধ অক্ষ যখন শহীদ ইসমাইল হানিয়া এবং ফুয়াদ শুকুরের হত্যাকাণ্ডের জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন স্পষ্টতই নেতানিয়াহু প্রতারণা ও সময় ক্ষেপণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, হামাসকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য যা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে না। আব্দেল হাদি আরো বলেন, নেতানিয়াহু ও তার উগ্রপন্থি মন্ত্রিসভাকে বাঁচিয়ে দেয়ার জন্য যে আলোচনার আয়োজন করা হয় তাতে হামাস অংশ নিতে পারে না।
ইসরাইলের ১৩ নম্বর টিভি চ্যানেল সম্প্রতি খবর দেয় যে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনার আগ মুহূর্তে নেতানিয়াহ নতুন করে কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। নেতানিয়াহু অনতিবিলম্বে হামাসের হাতে আটক ৩৩ জন জীবিত পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার এবং ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্য থেকে হামাসের পছন্দের বন্দিদেরকে মুক্তি না দেয়ার শর্ত দিয়েছেন।